প্রাক্তন প্রেমিক/ প্রেমিকা কি আবার আপনার জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন? সম্প্রতি এক পুরোনো জুড়ি, নৃত্যশিল্পী, গায়িকা অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ ও অভিনেতা-চিত্রনাট্যকার-পরিচালক বেন অ্যাফ্লেক ২০ বছর পর ফের এক হয়েছেন। তার পর থেকেই এ প্রশ্ন নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে।
বেন আর জেনিফারের বাগদান হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বিয়ের আগেই সম্পর্কে তিক্ততা শুরু হয়। বিচ্ছেদের পর জেনিফার দু’ বার বিয়ে করেছিলেন – গায়ক মার্ক অ্যান্টনি ও বাস্কেটবল তারকা অ্যালেক্স রডরিগেজকে। কোনও সম্পর্কই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বেনের বিয়ে হয়েছিল অভিনেত্রী জেনিফার গারনারের সঙ্গে। ১০ বছরের দাম্পত্যর পর তাতেও বিচ্ছেদের ছায়া নামে গত বছর।
জুলাইয়ের শেষে জেনিফারের জন্মদিনে তাঁদের এক হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে, তার পর থেকেই ‘বেনিফার’ প্রায় অবিচ্ছেদ্য। অনেকে বলছেন, এ সবই খবরে থাকার ছল। আসলে সম্পর্ক এভাবে জোড়া লাগে না। আবার জেনিফার ও বেনের ঘনিষ্ঠ মহলের ধারণা, তাঁরা খুব শিগগিরই এনগেজমেন্টের বাঁধনে বাঁধা পড়বেন।
এ তো গেল সেলেব্রিটিদের খবর। আমাদের জীবনে কি এমনটা হওয়া উচিত? পুরোনো প্রেমিককে ফিরিয়ে নেওয়াটা কি খুব বুদ্ধিমানের কাজ?
. প্রথমে ভেবে দেখুন, আপনি নিজে কি চান? যাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন, যাঁর দোষ-গুণগুলো খুব ভালোমতো জানেন এবং কোনও একটা সময়ে সেই মায়া কাটিয়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর সঙ্গে আবার একসঙ্গে থাকার রিস্কটা কি আপনি নিতে চান সত্যিই? উত্তর হ্যাঁ হলে বাকিটা পড়ুন।
. এবার নিজেকে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নটা করুন। ঠিক কী কারণে আপনি মানুষটিকে আবার মেনে নেবেন? কোন কোন কারণে অপ্রতিরোধ্য টান অনুভব করছেন? ভেবে দেখুন সম্পর্কটা ভেঙে যাওয়ার পরের দিনগুলো কেমন ছিল? তিনি কি আপনার নামে কুৎসা করেছিলেন? বিশ্বাস ভেঙেছিলেন? খুব নেগেটিভ নোটে সম্পর্ক ভাঙার পর কিন্তু ফেরার সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো। কারণ সেই তিক্ততা মাঝে মাঝেই ফেরৎ আসবে।
. যদি প্রাক্তনের সঙ্গে আপনার অ্যাবিউসিভ সম্পর্ক থেকে থাকে, তা হলে কিন্তু এগোবেন না। মদ্যপান, মারপিট, একাধিক সম্পর্ক , মিথ্যে কথা বলা মানসিক সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে। এ সব সমস্যা কিন্তু চট করে কাটে না।
. যে কারণে ব্রেকআপ হয়েছিল সেটা যদি আবার ফিরে আসে, তা হলে কী করবেন? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আপনাদের দু’জনের কাছেই একদম পরিষ্কার হওয়া উচিত। দরকারে বার বার কথা বলুন।
. স্রেফ সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে বলেই অন্য কারও সঙ্গে জড়িয়ে পড়বেন না, প্রাক্তনের সঙ্গে তো একেবারেই না।
. পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁরা কি চান আপনাদের সম্পর্কটা ফের জোড়া লাগুক? সবার মতামতকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।