লেখার অভ্যেস করান: অনলাইন ক্লাসের চক্করে কম-বেশি সব ছাত্রছাত্রীর লেখার অভ্যেসে এসেছে ভাটার টান। এই অবস্থায় তাদের লেখার প্র্যাকটিস বাড়ানো দরকার সবার আগে। আজকাল ইন্টারনেট খুললেই অজস্র মডেল প্রশ্ন পাবেন – সেগুলি লিখে অভ্যেস করান। তাতে হাতের লেখা স্পষ্ট হবে, স্পিড বাড়বে এবং প্রশ্নের উত্তর লিখতে লিখতে আত্মবিশ্বাসও বাড়বে – পরীক্ষার হলে গিয়ে আঁতকে ওঠার পরিস্থিতি থাকবে না।
যে কোনও সমস্যার সমাধান করা যায় চাইলেই: বাচ্চা কোনও বিশেষ বিষয় নিয়ে ভয় পাচ্ছে? তাকে বোঝান যে চাইলেই সব সমস্যার সমাধান করে ফেলা সম্ভব। কোনও বিষয় ঠিকমতো তৈরি না হলে বাচ্চা সেই বিষয় নিয়ে দ্বিধা আর আতঙ্কে ভুগবে। এর পুরো দায়টা নিশ্চিতভাবেই তার একার নয় – যিনি শিখিয়েছেন, তিনিও নিজের কাজটা ঠিকভাবে করেননি। আপাতত বাচ্চার সঙ্গে বসে কাজ চালানোর মতো সমাধান করে দিন – পরের বছর বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে এই বিষয়ে, এটা মাথায় রাখবেন।
সাহায্য করুন, তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবেন না: আপনার সন্তান যথেষ্ট বড়ো হয়েছে, সে নিজের ভালো-মন্দও বোঝে। তাকে সারাক্ষণ আগলে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। পরীক্ষার আগে খেলতে বা টিভি না চালাতে দিলে কোনও লাভ হবে না – সে ফাঁকফোকর খুঁজে নেবেই। সাহায্য করুন, বিরক্ত করবেন না। তার চেয়েও বড়ো কথা, সন্তানকে বুঝতে দিন সে কোন বিষয়ে দুর্বল।
সন্তানকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে দিন: জীবনে বারবার কঠিন পরিস্থিতি আসবে। তার সামনে নুইয়ে পড়ে কোনও লাভ নেই, তাকে পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এই পরীক্ষাটাকেও সে যেন চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখে। মাথা নোওয়ালেই হার স্বীকার করে নিতে হবে – তাতে কোনও লাভ নেই।
ভুল থেকে শেখার অভ্যেস গড়ে ওঠে: যে মানুষ ভুল করেনি, সে ঠিক কাকে বলে তা চিনতে পারবে না। তাই ভুল করতে দিন, কম নম্বর পেতে দিন। স্কুলের পরীক্ষায় সন্তান কম নম্বর পাচ্ছে মানে সে ঠিকমতো তৈরি নয়, শেখায় ফাঁক আছে। কীভাবে সেই ফাঁকটা ভরা যেতে পারে তা তার শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে মেটাতে হবে।
স্রেফ পরীক্ষা নিয়েই সারাদিন কথা বলবেন না: কারণ তার বাইরেও একটা বিরাট জীবন আছে। স্কুলের পরীক্ষায় ফল খারাপ হলেই ভেঙে পরার কিছু নেই। তাকে ফের ভালো করার রাস্তাটা শিখিয়ে দিতে হবে কেবল। তার সামনে নিজের টেনশন, চিন্তার বাড়াবাড়িটাও দেখানোর দরকার নেই। সন্তানকে ভারহীন বেড়ে উঠতে দিন।
সারাক্ষণ বকাঝকা বা নিন্দে করে লাভ নেই: বেশি বকলে সন্তান একটা সময়ের পর আপনাকে আর পাত্তা দেবে না। খুব চাপ দিতে গেলেও ভুল করবেন। তার চেয়ে লেখাপড়ার প্রতি তার আগ্রহ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করাটা বেশি জরুরি। ‘তুই মোটেই পড়ছিস না’ না বলে একবার ‘তুই কেন পড়ছিস না বল তো বাবা’ ট্রাই করে দেখুনই না কী হয়?
বাচ্চাকে উৎসাহ দিন: যে কোনও বয়সেই উৎসাহ ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আপনিই সন্তানের চিয়ারলিডার হয়ে উঠুন – ফারাকটা বুঝতে পারবেন কিছুদিনের মধ্যেই!