এক কথায় গোটা দুনিয়ার মানুষের স্বভাব ও চরিত্র নিয়ে শেষ কথা বলা যায় না। তাই আপনি যদি সামান্য কিছুদিনের পরিচয়ে কাউকে চিনতে না পারেন, তা হলে দোষের কিছু তো নেই-ই, বরং সেটাই স্বাভাবিক। তবে কিছু লক্ষণ দেখে একটা প্যাটার্ন চেনা যায় নিশ্চিতভাবেই।
১. সঙ্গী কি খুব সহজেই আপনার সব কথা মেনে নেন?
তার মানে এঁকে প্রভাবিত করা খুব সহজ – কেবল আপনি নন, যে কেউই তা পারবে। হয়তো মানুষটি কোনও ঝুটঝামেলায় পড়তে চান না, তাই যে যা বলেন তা মেনে নেন। কিন্তু ইনি নিজে কী চান, তা বোঝা মুশকিল – হয়তো কোনও কারণেই তা প্রকাশ্যে আসবে না। এই কঠিন দায়িত্বটা আপনাকেই নিতে হবে। আপনি যা চান সেটা যেমন উনি মানছেন, তেমনই ওঁর ভালো লাগার মতো কিছু জিনিস করলে প্রেম যে আরও বাড়বে তা নিয়ে সন্দেহ নেই!
২. আপনার পার্টনার কি প্র-চুর কথা বলেন?
এঁরা সাধারণত খুব দরিয়া-দিল মানুষ হন। মনে ময়লা বা রাখঢাক থাকে না। তবে অনেক কথা বলেন তো – সব মাথায় রাখতে পারেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখবেন যে নিজের বলা কথা এঁদের নিজেদেরই খেয়াল থাকে না। তাতে রাগ করবেন না, মিথ্যেবাদী ভাবারও কিছু নেই। এঁরা প্রতি মুহূর্তে বাঁচেন এবং সাধারণত খুব বন্ধুবৎসল হন। তবে খুব নিখুঁত পরিকল্পনা করে ভবিষ্যৎ প্ল্যানিং কতটা সফলভাবে করতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সেই দায়িত্বটা আপনাকে নিতে হবে।
৩. সঙ্গী কি খুব পারফেকশনিস্ট?
এঁরা খুব ফোকাসড ও ব্যাল্যান্সড মানুষ হন সাধারণত। সব কাজ নিজে করে নেওয়ার অভ্যেস থাকে, কারণ অন্যরা যেভাবে করবেন সেটা এঁর পছন্দ হবে না। হুট করে কোনও সিদ্ধান্ত নেন না, আগু-পিছু হাজারবার ভাবার পর যে কোনও কাজ করেন। কাজের কোয়ালিটির দিক দিয়ে আপনি কিছুতেই এঁদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারবেন না – নিজের খুঁত বেশি করে চোখে পড়বে। এঁরা সাধারণত দায়িত্ববান হন, কথা দিলে কথা রাখেন। কিন্তু আপনি যদি খুব আবেগপ্রবণ হন, তা হলে একটু অসুবিধে হবে। এঁদের আবেগের চেয়ে যুক্তিবোধ বেশি ধারালো হয়।
৪. অন্তর্মুখি কিনা বুঝবেন কীভাবে?
আপনার সম্পর্কে পার্টনার সব জানলেও আপনি ওঁর ব্যাপারে তেমন কিছুই জানেন না? তা হলে ইনি অন্তর্মুখি বা ইনট্রোভার্ট। তার মানে এই নয় যে নিজেদের কথা এঁরা ইচ্ছে করে চেপে রাখেন – এঁদের স্বভাবটাই এরকম। বার বার চাপাচাপি করলে এঁরা অস্বস্তিতে ভুগতে আরম্ভ করবেন, নিজেকে আরও গুটিয়ে নেওয়াও বিচিত্র কিছু নয়। এঁদের ব্যাপারে কিছু জানতে হলে এঁদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের উপর ভরসা রাখতে হবে আপনাকে।
৫. পার্টনার অতিরিক্ত এক্সট্রোভার্ট হলে কি কোনও অসুবিধে হয়?
এটা নির্ভর করবে আপনার সহনশীলতার উপর। এমনিতে যাঁদের রোজ বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিতে, পার্টি করতে ভালো লাগে, তাঁদের কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যাঁরা এতটা পছন্দ করেন না, তাঁদের হাঁফ ধরতে পারে একটা সময়ের পর। এঁদের ঘরবন্দি হতে বলবেন না, তা হলে আবার এঁদের দমবন্ধ হয়ে যাবে। আপনি বরং নিজের মতো স্পেস তৈরি করে নিন, তার পর আর কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
৬. সঙ্গী কি আপনাকে ঠকাচ্ছেন?
পেশাদার গোয়েন্দাও এই একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে কিছু বলতে পারবেন না – একমাত্র আপনিই বুঝবেন। কিছু মানুষের স্বভাবে বহুগামিতা থাকে, কেউ কেউ আবার অনেকের সঙ্গে মিশে একজনকে বেছে নেন। আপনি তেমন কাউকে মন দিয়ে থাকলে সমস্যা হবে। একজনের সঙ্গে প্রেম করতে করতে অন্য কাউকে ভালো লাগতে পারে, আপনার সঙ্গী দ্বিধায় ভুগতে পারেন – সব ক্ষেত্রেই আপনি উষ্ণতার অভাব টের পাবেন। তবে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো করে জেনে-বুঝে, ভেবে তবেই নেওয়া উচিত।
প্রেম বা বিয়ে ভেঙে যায় নানা ঠুনকো কারণে – আবার ভুল সম্পর্ক থেকে বেরনোর পর মানুষ পছন্দের সঙ্গীকে খুঁজে পায়। তাই আশা হারাবেন না।