দরকারে না বলতে ব্যর্থ হলে আপনাকে কেউ সিরিয়াসলি নেবে না। আপনি নিজের মত কোনওদিন প্রকাশ করতে পারবেন না। ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ হবে না। সম্পর্ক বা পেশাদার জীবন – সর্বত্র অন্যেরা আপনাকে ব্যবহার করবে। অন্যের মত মানতে মানতে একটা সময়ে নিজেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। তাই কোন কোন ক্ষেত্রে না বলা যায়, আগে সেটা বুঝতে শিখুন।
প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু লক্ষ্য থাকে, আদর্শ থাকে। যে মুহূর্তে সেই আদর্শের সঙ্গে সমঝোতা করার প্রশ্ন আসবে, আপনাকে পিঠ সোজা করে দাঁড়াতেই হবে। অন্যকে খুশি করতে গিয়ে নিজের অসম্মান করবেন না যেন!
১. খুব কর্কশভাবে না বলার দরকার নেই
আপনি কীভাবে না বলছেন, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তেড়ে উঠে সহকর্মী বা বসের সঙ্গে কথা বললে অফিসে ঝামেলা লেগে যাবে, সংসারে অশান্তি বাড়বে। ধীর গলায়, ঠান্ডা মাথায় বলুন কাজটা আপনি করবেন না, বা বাড়তি দায়িত্ব নিলে সামলানো মুশকিল হয়ে যাবে।
২. প্রতিবার না বলার যথেষ্ট কারণ যেন থাকে – তা ব্যাখ্যা করতে দ্বিধা করবেন না
আপনি যে কারণে কাজটা করতে চাইছেন না, সেগুলি ব্যাখ্যা করে দিন। যদি অনেক কথা বলেন, তা হলে কারণ লঘু হয়ে যাবে। ধরুন সহকর্মীরা ধরেছেন সিনেমা দেখতে যাওয়ার জন্য, আপনাকে মায়ের সঙ্গে বোনের বাড়ি যেতে হবে। কলিগদের বুঝিয়ে বলুন যে আগেই আপনি মাকে কথা দিয়ে রেখেছেন এবং তাঁকে আশাহত করতে চান না। একগাদা মিথ্যে অজুহাত দিলে কেবল সময় নষ্ট হয়।
৩. আপনার কাছে কোনও অল্টারনেটিভ আইডিয়া থাকলে দিতে পারেন
কাউকে না বলার পাশাপাশি একটা বিকল্প পথের সন্ধান দেওয়া গেলে খুব ভালো হয়। তাতে যিনি সাহায্য চাইছেন, তাঁরও সুবিধে হয় এবং আপনার যে সদিচ্ছার অভাব ছিল না সেটাও স্পষ্ট বোঝা যায়।
৪. না বলার পরেও আলোচনার রাস্তা খোলা রাখা যায়!
যদি বলেন কাজটা আমি এখন করতে পারছি না, পরে দেখব – তা হলে কিন্তু খানিকটা সময় নেওয়া যায়। যে কাজ আপনি করতে চান কিন্তু স্রেফ সময়ের অভাবে মাথা দিতে পারছেন না আপাতত, সেগুলির ক্ষেত্রে এই যুক্তি খাড়া করুন।
৫. না বলার আগে ভালো করে ভাবনাচিন্তা করে নেওয়া উচিত
আপনি না বলছেন কেন? সেটা স্রেফ কথার কথা হয়ে দাঁড়াবে না তো শেষে? তা হলে কিন্তু অন্যেরা সেই আপনার থেকে সুযোগ নেবে। কোন কোন ক্ষেত্রে না বলতে চান, সেটা ভেবে ঠিক করে নিন আগে। কীভাবে বলবেন, সে সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলুন। কিন্তু একবার বলার পর কথা ফিরিয়ে নেবেন না। তা হলে সবাই বার বার এমন পরিস্থিতি তৈরি করবেন যাতে আপনি ‘না’ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হন। তাতে কোনও লাভ নেই কিন্তু!