সকালের মিঠে রোদে মর্নিং ওয়াকে যেতে কার না ভালো লাগে বলুন? শীতের জড়তা কাটাতে অনেকেই ব্যায়াম করছেন আজকাল। কিন্তু সেই সঙ্গে মনে রাখবেন যে ঠান্ডা পড়লেই আমাদের মাসল আর্দ্রতা হারাতে আরম্ভ করে, তার উপর কমে যায় জল খাওয়ার পরিমাণ। তাই ব্যায়াম শুরুর আগে ওয়ার্ম আপ করা একান্ত প্রয়োজনীয়।
ওয়ার্ম আপের গুরুত্ব
ওয়ার্ম আপ আক্ষরিক অর্থেই আপনার শরীরের তাপমান বাড়ায় ধীরে ধীরে। বাড়ে রক্ত চলাচল, ফলে বাইরের তাপ আর শরীরের ভিতরের উষ্ণতার মধ্যে একটা সামঞ্জস্য এসে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি পেশি জেগে ওঠে ধীরে ধীরে – তার পর ওয়ার্কআউট শুরু করলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। মাসলে রক্ত চলাচল বেড়ে যাওয়ার পর ব্যায়াম শুরু করলে চোট লাগার আশঙ্কা কমে।
কীভাবে ওয়ার্ম আপ করা উচিত
শরীরের সব মাসল গ্রুপের ওয়ার্ম আপ করা জরুরি। কিছু সাধারণ ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করলেই আপনার সমস্যার সমাধান হবে। যাঁরা জোরে হাঁটেন, তাঁরা শুরুতে খানিকক্ষণ অত দ্রুত পা চালাবেন না, ধীরে হাঁটুন। যোগাসন করার আগে হাত-পা ভালো করে চালিয়ে নিন – গোটা ৫০ সিঁড়িতে ওঠানামা করাটাও একইরকম কাজে দিতে পারে। যাঁরা জগিং করেন, তাঁরা দৌড় শুরুর আগে খানিকটা হেঁটে নিন।
কুল ডাউন করাও কী একইরকম জরুরি?
হ্যাঁ, অবশ্যই। আপনার শরীরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা খুব জরুরি। তাই ব্যায়ামের শেষে একইভাবে শরীর ঠান্ডা করার প্রক্রিয়াও অভ্যেস করতে হবে। দৌড় শেষ করুন হাঁটা দিয়ে। যাঁরা মর্নিং ওয়াক করেন, তাঁরা শেষের দিকে খুব ধীর গতিতে পা চালান। যোগব্যায়ামের শেষে শবাসন করুন।
তা হলে স্ট্রেচিং কখন করবেন?
স্ট্রেচ করে আপনার মাসলের সব জড়তা কাটানোর সেরা সময় হচ্ছে ওয়ার্ক আউট শুরুর আগে এবং ওয়ার্ম আপ করার পর। স্ট্রেচিং ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়ায়, আপনার হাড়ের জোড়ের জায়গাগুলিকে তা খুব মোলায়েম রাখে। যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের জন্যও স্ট্রেচিং একান্ত জরুরি।
সবচেয়ে জরুরি কি জানেন?
ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি কি জানেন? নিজের সীমাটা বোঝা। হ্যাঁ, আপনাকে উন্নতি করতে গেলে কমফর্ট জোনের বাইরে বেরোতেই হবে। কিন্তু তার জন্য নিজেকে কষ্ট দেওয়াটা ঠিক নয় একেবারেই। শরীরকে ভালো রাখার জন্য ব্যায়াম করুন, তাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য নয়। ধীরে ধীরে ইন্টেনসিটি বাড়ান। দুম করে কোনও কসরত শুরু করবেন না, হুট করে বন্ধও করবেন না। সময় নিন, যা করার ধীরে-সুস্থে করুন।