যত দিন যাচ্ছে, প্রেম আর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাটা তত মুশকিলের হয়ে যাচ্ছে। প্রেমে পড়ায় বারণ নেই, কিন্তু সম্পর্ক টেনে নিয়ে যেতে গেলে অনেক ধৈর্য ধরতে হয়, ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। এখন যাঁর সঙ্গে আছেন, তাঁকে কি আপনার ভালো লাগছে, না ভালোবেসে ফেলেছেন বুঝতে পারছেন না?
সম্পর্কের কয়েকটি স্তর থাকে – ধাপে ধাপে তা এগোয় নিয়ম মেনে। আপনি ঠিক কোন জায়গায় রয়েছেন এই মুহূর্তে? জেনে নেওয়া খুব সহজ!
প্রবল আকর্ষণের স্তর
প্রথম দর্শনেই প্রেম বলুন বা বন্ধুত্বের চৌকাঠ পেরিয়ে প্রেমের উঁকিঝুকিই বলুন, এই স্তরে আকর্ষণের টান প্রচণ্ড তীব্র থাকে। এই সময়টায় প্রেমিক-প্রেমিকা পরস্পরকে ছেড়ে থাকতেই পারেন না। অর্থাৎ এ সময়টা শুধুই হরমোনের তীব্রতা আর ওঠাপড়ার সময়! তার চেয়ে বড়ো কথা, এই স্তরে একে অপরের দোষগুলো মানুষ মোটেই দেখতে পায় না। একটু সাবধান, কারণ সেগুলোই কিন্তু পরে সম্পর্কে ফাটল ধরাবে।
মধুচন্দ্রিমার স্তর
বছর দুই এই স্তর থাকে। এই স্তরে এসে সদ্য থিতু হয় সম্পর্ক। এই সময়টাও গোলাপি কাচের মধ্যে দিয়ে গোটা দুনিয়াটাকে রঙিন দেখানোর সময়! মনের মানুষের কোনও দোষই আপনার চোখে পড়বে না এখন! প্রেম অন্ধ, তা বোধহয় এই সময়টাকে দেখেই বলা হয়েছে।
সমস্যা মাথাচাড়া দেওয়ার সময়
সমস্ত সম্পর্কেই একটা সময়ে ভাটার টান আসে। এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই স্তর থেকে হয় আপনাদের মধ্যেকার ফাটল আরও চওড়া হবে, অথবা আপনারা বুঝতে পারবেন যে অন্য মানুষটিকে ছেড়ে থাকা অসম্ভব। তখন আবার নতুন করে সব শুরু করার কথা ভাববেন। বলতে পারেন যে এই স্তরটাই সম্পর্কের অ্যাসিড টেস্ট। একবার পেরিয়ে গেলে সাধারণত ভাঙার আশঙ্কা কমে।
পরস্পরের আরও কাছাকাছি আসার স্তর
উপরের সব ধাপগুলো পেরিয়ে যাওয়ার পরেও যদি একে অপরের কাছে আসার তীব্র ইচ্ছে অনুভব করেন, তা হলে আপনারা বিয়ের জন্য মোটামুটি তৈরি। হ্যাঁ, এর পরেও অনেক বিয়ে ভেঙে যায়, আবার সেই সঙ্গে এটাও ঠিক যে এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনারা একে অপরকে খুব ভালোভাবে চিনে নিয়েছেন এবং অন্যজনের দোষ-ত্রুটি বা দুর্বলতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে। এবার সিদ্ধান্ত নিন যে সে সব মেনে একসঙ্গে থাকতে পারবেন কিনা!