আপনি কি সংক্রমণ শুরুর সময়ে যে মাস্ক কিনেছিলেন, তাই দিয়েই এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন?
ডিজাইনার মাস্ক ছাড়া আপনার চলে না?
সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভ ঠেকাতে কোন মাস্ক সবচেয়ে কার্যকর?
এন-৯৫ কি লাগবেই?
এই সব প্রশ্নের উত্তর যাঁরা খুঁজছেন, তাঁদের জন্য রইল আমাদের সহজপাঠ।
মাস্কের ফিটিং কেমন হওয়া উচিত?
প্রথমেই খেয়াল রাখুন মাস্ক যেন নাকের ব্রিজ থেকে থুতনি পর্যন্ত পুরোটা ঢেকে রাখে। কথা বলার সময়ে যেন মাস্ক নড়াচড়া না করে, তা হলেই হাত লাগিয়ে তা অ্যাডজাস্ট করার চেষ্টা করবেন আপনি। মাস্ক টাইট হবে, কিন্তু কেটে বসবে না ত্বকে। শ্বাস নিতে কোনও অসুবিধে হওয়ারও কথা নয়।
ভালভ দেওয়া মাস্কের সমস্যা কী?
ভালভ দেওয়া মাস্ক থেকে আপনার ড্রপলেট বাতাসে ছড়াবে। তার মানে অন্য কারও শ্বাসবায়ু ঢুকে পড়ার আশঙ্কাও থাকছে। আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে ভালভ দেওয়া মাস্ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন আমেরিকার জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
দুটো মাস্ক পরলে কি বাড়তি নিরাপত্তা মেলে?
অবস্থার উপর নির্ভর করে। এখন সংক্রমণ খুব বেড়ে গিয়েছে। তার পর যদি আপনাকে রোজ পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করতে হয়, তা হলে একটি সার্জিকাল মাস্কের উপর কাপড়ের মাস্ক পরতে পারেন। তবে কাপড়ের মাস্কে যদি একাধিক লেয়ার থাকে তা হলে সার্জিকাল মাস্ক ছাড়াও যথেষ্ট প্রোটেকশন পাবেন।
বাড়িতে কারও কোভিড হয়েছে, আর আপনি দেখভাল করছেন? তা হলে সার্জিকাল মাস্ক আর ডাবল লেয়ার কাপড়ের মাস্ক পরতে পারেন। বাজার দোকান করা বা অফিসের সময়েও ডাবল মাস্ক পরা উচিত।
এন ৯৫ পরলে অবশ্য একাধিক মাস্ক পরার কোনও প্রয়োজন নেই। মাস্ক কোনও অবস্থাতেই হাত দিয়ে অ্যাডজাস্ট করবেন না, একান্ত করতে হলেও হাতে স্যানিটাইজার লাগিয়ে নিন।
মাস্ক পরার পর শ্বাস নিতে বা দেখতে অসুবিধে হচ্ছে?
তা হলে আপনি ভুল মাস্ক বেছেছেন। যা পরে স্বাভাবিক থাকতে পারবেন, তেমন কিছু একটা বেছে নিন।
কাশি বা হাঁচি হলে কোন ধরনের মাস্ক পরবেন?
হয় এন ৯৫, না হলে ডাবল মাস্ক। ডাবল মাস্কিং এরোসলের ৮৫ শতাংশই আটকে দিতে পারে। সেই সঙ্গে আপনাকে সোশাল ডিসট্যান্সিং মানতে হবে। নিজেকে আইসোলেট করে রাখতে পারলেও ভালো হয়।
ফ্যাশনেবল মাস্ক কতটা কাজের?
একাধিক লেয়ার না থাকলে কোনও কাজের নয়। অন্তত পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁরা স্রেফ ফ্যাশনেবল মাস্কে ভরসা রাখবেন না।
মাস্ক আলগা হয়ে গেলে কিন্তু পরে কোনও লাভ নেই।
সার্জিকাল মাস্ক সারাদিন পরে থাকা একটু অসুবিধেজনক – ড্রপলেটের কারণে গন্ধ হয়ে যায়। দরকারে একাধিকবার বদলে ফেলুন।