এখন সমাজে যা ট্রেন্ড চলছে, তাতে কাছাকাছি বয়সের নর-নারীর মধ্যে প্রেম হবে বা তাঁরা বিয়ে করবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি এমন কারও প্রেমে পড়েন, যিনি আপনার চাইতে অনেক বড়ো, বা বেশ খানিকটা ছোটো, তখন? অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করবেন, প্রশ্ন উঠবে এ সম্পর্ক টিকবে কিনা।
আপনার কি এ সব কথায় কান দেওয়া উচিত? আমাদের পরামর্শ যদি শোনেন, তা হলে বলব যে, একেবারেই না। মনের মিল হওয়াটাই সবচাইতে জরুরি বিষয়। যদি মনে হয় যে একে অপরের হাত ধরে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারবেন, তা হলে অন্য কারও কথায় কান দেওয়ার দরকার নেই একেবারেই! করিনা কাপুরের সঙ্গে তাঁর স্বামী সইফের বয়সের পার্থক্য ১০ বছরের। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তো তাঁর স্বামী নিকের চেয়ে প্রায় ১০ বছরের বড়ো, তাতে কি আর তাঁদের সংসার করা আটকাচ্ছে?
আপনি যদি বয়সে বড়ো কারও প্রেমে পড়েন, তা হলে কিছু কিছু সুবিধে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করবেন। যেমন, সে মানুষটি (তা সে তিনি নারী হোন বা পুরুষ) জীবন সম্পর্কে আপনার চাইতে অনেক বেশি জানেন, বোঝেন। তাঁর পরামর্শ কাজে লাগবেই। সাধারণত বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নানা বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ে। ফলে জীবনে এমন নানা রোমাঞ্চ আসতে বাধ্য যা আপনি সমবয়স্ক কারও থেকে পাবেন না।
কিন্তু পাশাপাশি এটাও ঠিক যে বয়সে বড়ো সঙ্গী থাকার একটা সমস্যা হচ্ছে, তিনি সম্পর্কটাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করতে পারেন বা অভিভাবকসুলভ হাবভাব দেখাতে পারেন। তাতে যদি আপনার অসুবিধে হয়, তা হলে পরিষ্কার তাঁকে সেটা জানিয়ে দেওয়া ভালো।
পরিণত বয়সের সঙ্গী আপনার চেয়ে বেশি সফল হলে তাঁর আর্থিক সামর্থ্যও বেশি হবে – হয়তো তিনি আপনাকে বেশি দামী উপহার দেবেন বা নামী রেস্তোরাঁয় খাওয়াতে নিয়ে যেতে পারেন। নিজের সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে তাঁকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা না করে হিসেবের মধ্যে খরচ করুন।
আবার যাঁরা বয়সে ছোটো কারও সঙ্গে প্রেম করেন, তাঁদের মনের মধ্যে বয়সের বাধাটা কাঁটার মতো ফোটে। তাঁরা ভাবেন এনার্জি বা উৎসাহের দিক থেকে তাঁরা তরুণ সঙ্গীর তুলনায় পিছিয়ে পড়ছেন। পাশাপাশি সমাজের টেরাবেঁকা মন্তব্য তো আছেই! কিন্তু কবে এনার্জির ঘাটতি দেখা দেবে বা আপনি শারীরিক সৌন্দর্যের দিক থেকে পিছিয়ে পড়বেন, তা ভেবে আনন্দের মুহূর্তগুলোকে নষ্ট করবেন না।
খেয়াল রাখবেন
. সমাজ বার বার টেরাবেঁকা মন্তব্য করবে আপনার সম্পর্ক নিয়ে, তাতে কান দেবেন না।
. ছোটো ছোটো বিষয় নিয়ে অশান্তি করবেন না। নিজেদের মধ্যে কথা বলুন, সমস্যাটা কোথায় ও কেন হচ্ছে খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে সব সময়ে।
. সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন। মন ভালো রাখুন। মন ভালো থাকলে শরীরের তারুণ্য ধরে রাখা যায় বেশিদিন।
. একে অন্যের প্লাস পয়েন্টগুলোর কথা খেয়াল রাখুন, কে কী পারেন না, তা নিয়ে বেশি ভাবার বা সময় নষ্ট করার দরকার নেই।