আপনিও কি বিশ্বাস করেন যে গ্রিন টি খেলেই ওজন কমতে আরম্ভ করবে ম্যাজিকের মতো? তা হলে আপনার এখনই কয়েকটি জরুরি বিষয় জেনে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
অন্য চায়ের সঙ্গে গ্রিন টি-র পার্থক্য
চা গাছের পাতা প্রথমে শুকনো করে নেওয়া হয়, তার পর আসে তাকে অক্সিডাইজ করার পালা। সবুজ চা আর সাদা চায়ের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াকরণটা হয় না। অক্সিডাইজ ও ফারমেন্টেশন ব্যতিরেকে চায়ের পাতায় তৈরি হয় গ্রিন টি, সাদা চায়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় কেবল কুঁড়ি। উলং আর কালো চায়ের ক্ষেত্রে পাতা ফারমেন্টেশন করানো হয়।
অ্যান্টিঅক্সিডান্টের মাত্রা বেশি
বুঝতেই পারছেন, কম প্রক্রিয়াকরণের কারণেই সবুজ চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডান্টের পরিমাণ বেশি হয়। অ্যান্টিঅক্সিডান্ট নিয়ন্ত্রণ করে ফ্রি র্যাডিকালস দাপাদাপি। ফলে শরীর ভালো থাকে, ঠেকিয়ে রাখা যায় নানা মারণ রোগের আক্রমণ। গ্রিন টিতে ফ্ল্যাভিনয়েডের মাত্রা বেশি বলে কমে ইনফ্লামেশন।
গ্রিন টি বাড়ায় মেটাবলিজমের হার
হ্যাঁ, এ কথা খুব সত্যি যে গ্রিন টির মধ্যে এমন কিছু উৎসেচক থাকে যা মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু তার মাত্রা খুব সামান্য – তার চেয়ে দ্রুত বিপাকের হার বাড়বে যদি আপনি এক ঘণ্টা হাঁটেন বা কম কম করে বারে বারে স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
অতিরিক্ত গ্রিন টি পান করলে ঘুমের অসুবিধে হতে পারে
খুব বেশি গ্রিন টি পান করবেন না, কারণ অল্প হলেও তার মধ্যে ক্যাফেইন ও ট্যানিন থাকে। এগুলি আপনাকে জাগিয়ে রাখবে বেশিক্ষণ। তাই যাঁরা অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের বেশি চা খাওয়ার দরকার নেই। তা ছাড়া দাঁতে ছোপ পড়তে পএরে।
ঠেকিয়ে রাখে জরার মার
বলা হয়, সবুজ চায়ে উপস্থিত ক্যাটেচিন কোষের ড্যামেজ হওয়া আটকায়, ফলে বয়সের ছাপ পড়ে না। কিন্তু তার সঙ্গে নিয়মানুবর্তি হওয়া, সঠিক ডায়েট ও ব্যায়ামের রুটিন মানা ও যথেষ্ট ঘুমানোও জরুরি। কেবল এই চায়ের উপর ভরসা করে বসে থাকলে কিন্তু ভুল করবেন।
পাতা চা কিনুন, সেটাই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর
গ্রিন টি কেক, গ্রিন টি চকোলেট বা আইসক্রিমে কিন্তু তেমন কোনও গুণ নেই। পাতা চায়ের লিকার চিনি ছাড়া খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। একান্ত তা না পেলে টি ব্যাগ কিনুন। আর ব্যবহার করা টি ব্যাগ ফেলে দেবেন না, ফ্রিজে রাখুন। তার পর চোখের উপর আই ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করুন।