মানসিক শান্তি বজায় না রাখতে পারলে আপনি ভেঙে পড়বেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা এখন যাচ্ছি, তার সঙ্গে লড়াইয়ের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে মনের জোর, আর ঠান্ডা মাথা। কোনও পরিস্থিতিতেই ভেঙে পড়লে চলবে না, ভালো সময়ের অপেক্ষা করতেই হবে।
. কঠিন সময়ের সঙ্গে যুঝতে পারে সুস্থ শরীর। তাই সঠিক ডায়েট মেনে চলা একান্ত জরুরি। বেশি তেলমশলা খাবেন না, বাইরের খাবার থেকে দূরে থাকুন। শরীর ঠান্ডা রাখার নানা উপায় খুঁজে বের করুন। শসা, পাকা পেঁপে, তরমুজের মতো ফল, মৌরি-মিছরির শরবত, বেলের পানা, লেবুর শরবত ইত্যাদি খাওয়া দরকার। তুলসীর বীজ জলে ডুবিয়ে খেলেও খুব ভালো ফল পাবেন।
. খানিক সময় বরাদ্দ রাখুন হাঁটার জন্য। বাড়ির ছাদে বা লনে হাঁটতে পারেন – ভোর, বিকেল, রাত – সুবিধেমতো যে কোনও সময়ে হাঁটলেই চলবে। বাড়ির সকলের জন্যেই এই রুটিন বরাদ্দ থাক। খানিকক্ষণ হাঁটাচলা করলে শরীরের পাশাপাশি মন ভালো থাকে। মেডিটেট করতে পারলে তো খুবই ভালো হয়।
. যে যার মতো মোবাইলে মুখ গুঁজে পড়ে থাকবেন না। বিশেষ করে শিশু বা কিশোর-কিশোরীদের স্ক্রিন অ্যাডিকশন বাড়ছে। এর ফলে লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাদের বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হবে। পরিবারের সবাই একসঙ্গে সময় কাটান, কথা বলুন। একে অপরের অভাব-অভিযোগ শুনুন। তাতে ঝগড়া হতে পারে, কিন্তু মন ভালো থাকবে।
. এর আগেও পৃথিবীতে বহু কঠিন সময় এসেছে, মানবসভ্যতা কিন্তু ধ্বংস হয়নি। এই সময়টাও কেটে যাবে, কিন্তু কঠিন দিনগুলোয় যা শিখলেন তা মনে রাখুন। কখনও নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে হেলাফেলা করবেন না। মাস্ক পরুন নিয়ম করে। ডাক্তারের নির্দেশিকা মেনে চলুন। মাস্ক ঠিকমতো ব্যবহার করলে আর কোভিড বিধি মানলে বিপদের আশঙ্কা কমবে।
. বিভ্রান্ত হবেন না। সোশাল মিডিয়ায় দেখতে পাবেন, অতিমারির কঠিন সময়েও মানুষ কীভাবে অন্যজনের পাশে দাঁড়িয়েছে। আপনি যত নার্ভাস হবেন, তত তাড়াতাড়ি মেজাজ হারাবেন। কোনও অসুবিধেয় পড়লে কাছের বন্ধুবান্ধবদের থেকে সাহায্য চান, চুপ করে বসে থাকলেই বিপদ কমে যাবে না নিজে থেকে।
. কারও উপর খুব রাগ হলেই চিৎকার-চেঁচামেচি করে ফেলেন? তাতে কাজ উদ্ধার হয় কী? চেষ্টা করুন মাথা ঠান্ডা রেখে কার্যোদ্ধার করার – মেজাজ হারাবেন না। মিষ্টি মুখে কথা বললে তাড়াতাড়ি আপনার কার্যসিদ্ধি হবে।