কেরিয়ার, বন্ধু নির্বাচন, বিয়ে, প্রেম – সব ব্যাপারেই পরিবারের লোকের মতামত শুনতে শুনতে আপনি ক্লান্ত? ভারতীয় পরিবারে সত্যিই এটা একটা সমস্যা! বাড়িতে শর্টস পরা যাবে না, মেয়ে বন্ধু বাড়িতে আনা যাবে না থেকে শুরু হয়, তারপর বিয়ে, সংসার, সন্তান পর্যন্ত সব ব্যাপারে চলে খবরদারি। আর আপত্তি করলেই ব্ল্যাকমেল।
স্রেফ সমাজের চাপে পড়ে সম্পর্ক তৈরি করার নানা বিপত্তি আছে। কম বয়সে বিয়ে করলে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়, কিন্তু নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিণত বয়সে জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। তার চেয়েও বড়ো প্রশ্ন হচ্ছে সন্তানধারণ। এ সিদ্ধান্ত একেবারে একটি দম্পতির ব্যক্তিগত পছন্দ। তা নিয়ে অন্য কারও কথা আপনি শুনবেন কেন?
পরিবারের সদস্যরা যে আপনার ভালোর কথা ভেবেই পরামর্শ দেবেন, তা নিয়ে আমাদের কোনও সন্দেহ নেই। তবে সমাজ অনেক আধুনিক হয়েছে, তাঁরা তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারেন না, এটাই সমস্যা। তাঁদের বুঝিয়ে বললে নিশ্চয়ই কাজ হবে! কিন্তু কীভাবে বলবেন?
মন খুলে কথা বলুন
আপনার নিজের সিদ্ধান্তগুলো পরিবারের সবাইকে জানাতে হবে। তার জন্য মন খুলে কথা বলা দরকার। আপনি একা থাকতে চান সারা জীবন? চাকরি না করে ব্যবসা করতে চান? বিয়ের প্রাতিষ্ঠানিকতায় বিশ্বাস করেন না? সব কথাই জানা দরকার আপনার পরিবারের মানুষজনের। কম বয়সেই অল্প অল্প করে নিজের মনের কথা বলা শুরু করে দিন।
পরিবারের সবাইকে নিজের দলে নিন
ঝগড়া করে লাভ নেই, পরিবারের সকলকে বুঝিয়ে বলুন যে জীবন একটাই আর আপনি সেটা নিজের ইচ্ছেমতো কাটাতে চান। অন্য কারও মতে চলতে গিয়ে নিজের খুশি বিসর্জন দেওয়াটা মোটেই কাজের কথা নয়। এটা কিন্তু ঝগড়া করে হবে না, কথা বলেই সমাধানে পৌঁছতে হবে।
বেশি বয়সেও সন্তানধারণ সম্ভব
এ কথা খুব ঠিক যে ৩০ বছরের মধ্যে মেয়েদের স্বাস্থ্য খুব ভালো থাকে, ডিম্বাণুর মানও ভালো হয়। তাই তার মধ্যে মা হয়ে যেতে পারলে কোনও কথাই নেই! কিন্তু মাতৃত্ব যে দায়িত্ববোধের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তা কাঁধে নিয়ে কেউ কেরিয়ারে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নকে ভাসিয়ে দিতে না চাইলে তাঁকে জোর করা উচিত না। সুস্থ থাকলে বেশি বয়সেও মা হওয়া যায়। আজকাল মানুষের আয়ুও বেড়েছে বিজ্ঞানের কল্যাণে – তাই নিজের পায়ে দাঁড়িয়েও মা হতে পারবেন, সন্তান বড়ো হয়ে যাবে আপনি সুস্থ থাকতে থাকতেই।
পরিবারকে নিজের সাপোর্ট সিস্টেম ভাবুন
পরিবারের সকলের সঙ্গে এমন সম্পর্ক রাখুন যাতে তারা বিপদের দিনে আপনার পাশে এসে দাঁড়ায়, কারও সঙ্গেই সম্পর্ক খারাপ হতে দেওয়া উচিত নয়।