যে হারে কোভিড ছড়াচ্ছে এখন, তাতে কেউ নিরাপদ নন। ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়ার পর হয়তো রোগ খুব জটিল হচ্ছে না, কিন্তু অনেকেই লং কোভিডের সমস্যায় ভুগছেন। মুশকিল হচ্ছে, বাইরে থেকে দেখে বোঝা সম্ভব নয় কার শরীর কতটা লড়াই দিতে পারে – তাই আপাতত সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে নেমে পড়া ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনও রাস্তা নেই!
কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই কিন্তু মানুষ পুরো সুস্থ হচ্ছে না, আরও অনেকদিন ধরে বিব্রত করছে লং কোভিডের নানা লক্ষণ। তারই অন্যতম হচ্ছে ব্রেন ফগ আর দুর্বল স্মৃতিশক্তি। আপনি চট করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, খুব কনফিউজড লাগবে। জানা জিনিস ভুলে যাবেন – বয়স নির্বিশেষে বহু রোগীর এমনটা হচ্ছে।
এই অবস্থায় প্যানিক না করে আপনি অন্য একটা গঠনমূলক কাজ করে দেখতে পারেন। সেটা হল মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকাল স্কুলের এক দল গবেষকের বক্তব্য হচ্ছে, যে সব খাবার খেলে হার্ট, রক্তবাহী নালির শক্তি বাড়ে ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে, সেগুলিই মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করে তোলার কাজেও সাহায্য করে।
জানতে চান সেই খাবারগুলি কী?
১. আখরোট
যে কোনও বাদামই প্রোটিন আর স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উৎস। ২০১৫ সালে UCLA বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা হয়েছিল, দেখা গিয়েছিল যে বেশি আখরোট খেলে মানুষের কগনিটিভ স্কিলের লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। আখরোটে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড নামক একটি বিশেষ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ব্লাড প্রেশার কমাতে ও আর্টারির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
২. মাছ
মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ব্রেনে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন মাঝে মাঝেই। যে সব মাছে তৈলাক্তভাব বেশি, সেগুলিও খাওয়া উচিত। তবে রান্নায় অত্যধিক তেল-মশলা ব্যবহার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
৩. সবুজ শাকপাতা
আপনি নিশ্চয়ই ছেলেবেলায় শুনেছেন যে ব্রাহ্মী শাক খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে? ব্রকোলি বা পালং শাকেও কিন্তু ভিটামকিন কে, ফোলেট, বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন ইত্যাদি থাকে, এগুলি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে খুব কার্যকর। তবে শাকপাতা খাওয়ার আগে খুব ভালো করে ধুয়ে নেবেন। বিশেষ করে যাঁরা লেটুস বা কেল সরাসরি স্যালাড হিসেবে খান, তাঁদের খুব সাবধানে তা খাওয়া উচিত।
৪. বেরি জাতীয় রঙিন ফল
বেরি জাতীয় যে কোনও রঙিন ফলেই প্রচুর ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। এই অ্যান্টি অক্সিডান্ট স্মৃতি বাড়ায়। এবার আমাদের দেশে তো আর রোজ বেরি পাবেন না, তাই তরমুজ, আম, কালোজামের মতো যত রঙের ফল পাবেন, সব খান। একই কাজ হবে।
৫. কফি আর চা
শুনতে আশ্চর্য লাগছে? কিন্তু কফি আর চায়েও প্রচুর ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে আর তা আপনার ব্রেনের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো!