মে মাসের ১ তারিখ থেকে এ দেশে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের জন্য গণ ভ্যাক্সিনেশন শুরু হওয়ার কথা। কোভিড সংক্রমণ রোজ নয়া ইতিহাস তৈরি করছে, অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। এ অবস্থায় দেশের যুব সমাজের কাছে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার সব চাইতে সহজ উপায় হচ্ছে কোভিডের টিকা নিয়ে নেওয়া।
যদিও এই টিকাকরণ প্রকল্প ঠিক ১ তারিখেই শুরু করা যাবে কিনা তা নিয়ে রাজ্য সরকারগুলির মধ্যেই দ্বিধা আছে। কিন্তু সেদিন না হলে দিন সাতেকের মধ্যে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই।
সমস্যা হচ্ছে, দেশে ভ্যাকসিনের আকাল আছেই। বহু মানুষকে দেওয়া আরম্ভ হলেই তা আরও বাড়বে। ফলত এই গরমে আপনাকে হয়তো দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। যেখানে বার বার ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে লাইনে দাঁড়ালেই সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়বে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন?
আপনার আশঙ্কা একেবারে অমূলক নয়। আবার একটু সতর্ক হলে যে বিপদ এড়ানো সম্ভব তাও ঠিক। সবচেয়ে ভালো হত ‘কো-উইন’ বা ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ঠিকঠাক কাজ করলে – কিন্তু সেখানে রেজিস্ট্রেশনের বিপুল চাপ, ফলে মাঝে মধ্যেই সার্ভার কাজ করছে না। তাই লাইনে দাঁড়ানো ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। এই অবস্থায় আপনি নিজের চারপাশে নিরাপত্তার নিশ্ছিদ্র পরদা তোইরি করে নিন।
. অবশ্যই ডাবল মাস্ক পরুন – এছাড়া কোনও রাস্তা নেই, ভিতরে থাকবে সার্জিকাল মাস্ক, উপরে N 95। N 95 না থাকলে পরতে পারেন কাপড়ের মাস্ক। অনেকে N 99 জোগাড় করতে পেরেছেন – তাঁরা সেটা পরতে পারেন।
. মাস্ক পরার আগে একবার হাত ধুয়ে নিন, বাড়িতে এসে খুব ভালো করে হাত ধুয়ে তার পর মাস্ক খুলবেন। একটা সার্জিকাল মাস্ক তিনবারের বেশি ব্যবহার করা যায় না, তা খেয়াল রাখতে হবে।
. গরমে লাইনে দাঁড়িয়ে জল তেষ্টা পাবেই, নিজের জল নিজেই সঙ্গে রাখুন। বিস্কিটের মতো শুকনো খাবারও রাখতে পারেন, কারণ লাইন লম্বা হলে কিন্তু অপেক্ষা করতে হবে। যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের সুগার কমে গেলে সমস্যা হবে।
. আশপাশের কোনও সারফেসে হাত দেবেন না ভুলেও।
. ভালো করে খেয়ে যাবেন বাড়ি থেকে, তা হলে লাইনে দাঁড়িয়ে মাস্ক খুলে খাওয়ার দরকার পড়বে না।
. সোশাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিয়ম মানুন। অন্য জনের সঙ্গে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
. বাড়ি ফেরার পর জামাকাপড় সাবান জলে ডুবিয়ে রাখুন। তার পর ভালো করে স্নান সেরে পোশাক কেচে নিতে হবে।