বিদেশের মতো এদেশেও এখন বহু ছেলেমেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর একা থাকতে চান। অনেক মা-বাবাও আছেন যাঁরা সন্তানের সঙ্গে না থাকলেও দিব্যি সুখে থাকেন – ইচ্ছেমতো যাতায়াতও চলে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বাইরে বেরনোই দুষ্কর হয়ে গেল – এই অবস্থায় যদি একাকীত্ব গ্রাস করে, তা হলে খুব মুশকিল!
একা থাকলেও আপনার রোজের জীবন যাতে সুন্দরভাবে চলে তার ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। যাঁরা অল্পবয়সি, তাঁরা সাধারণত ছুটি-ছাটার দিনে বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতে ডাকেন। এখন তো সে উপায় নেই – তা হলে কী করবেন? ডিপ্রেসড হলে চলবে না, টেকনোলজির সাহায্য নিন। নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন পরিচিতদের সঙ্গে। ভিডিয়ো কল করতে পারেন।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে দেখে নিতে হবে বাড়িতে দরকারি ওষুধপত্র আছে কিনা। যাঁরা রোজের সব কাজ করে নেওয়ার মতো শারীরিক সক্ষমতার অধিকারী নন, তাঁরা সহায়ককে সঙ্গে থাকার অনুরোধ করে দেখতে পারেন। তা না হলে কিন্তু শারীরিকভাবে বেশি কাহিল হয়ে পড়বেন। রান্নার অসুবিধে থাকলে হোম ডেলিভারি করে খাবার আনিয়ে নেওয়াই ভালো।
কোনও না কোনওভাবে নিজেকে ব্যস্ত রাখার রাস্তা খুঁজে নিন। গাছের যত্ন নিন, পাড়ার কুকুর-বেড়ালদের রোজ খেতে দিতে পারেন। আশপাশের কারও সাহায্যের দরকার হলে হাত বাড়িয়ে দিন – তাতেও মন ভালো হয়।
নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। যথাযথ বিশ্রাম একান্ত প্রয়োজনীয়, সময়ে ঘুমোন। শরীর ভিতর থেকে শক্তপোক্ত হলে কোভিডের সঙ্গে লড়াই করাটা অনেক সহজ হবে। সেই সঙ্গে সঠিক, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া একান্ত জরুরি।
যদি সংক্রমণ হয়েছে বলে মনে হয়, তা হলে কাছের সবাইকে জানিয়ে রাখুন। কোনও দরকারে যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মানুষের অভাব না হয়। হাতের কাছে রাখুন নানা হেল্পলাইনের নম্বর। কিছু টাকাপয়সার জোগান রাখাও একান্ত দরকারি।
রোজের কাজের একটা রুটিন থাকা ভালো। তাতে একঘেয়েমি গ্রাস করবে না এবং আপনি মন খারাপ করার সুযোগ পাবেন না। সেই রুটিনের মধ্যে খানিকটা ব্যায়ামও রাখতে পারেন। রাত জেগে টিভি বা ওয়েব সিরিজ দেখাটাও খানিক ঠেকানো যাবে।
বাড়িতে অস্বাস্থ্যকর, হাই-ক্যালোরি খাবার রাখবেন না। একা থাকলে ভুলভাল সময়ে মুখ চালাতে ইচ্ছে করতে পারে। হাতের কাছে তেমন খাবার না থাকলে ঠেকাতে পারবেন বাড়তি ওজনের সমস্যা।