কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের ঘাম বেশি হয়। শরীরে ঘাম হওয়া এক রকম, মাথায় ঘাম বসার বিপদ কিন্তু আলাদা। চুল চ্যাটচ্যাট করবে, মাথায় গন্ধ হবে, একটা সময়ে চুল উঠতে আরম্ভ করবে। এই অবস্থায় আপনাকে একটু বাড়তি যত্ন করতেই হবে!
একদিন অন্তর শ্যাম্পু করুন
যদিও সপ্তাহে দু’বার, বড়োজোর তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা ঠিক নয়, তবে মাথায় খুব ঘাম জমলে উপায় নেই। হালকা ক্ল্যারিফায়িং শ্যাম্পু তালুতে অল্প একটু ঘষে চুল ধুয়ে নিন। প্রতিবার চুলে কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন, তাতে স্ক্যাল্প আর চুল দুইই তরতাজা থাকবে।
পেপারমিন্ট অয়েলের কেরামতি
শ্যাম্পু বা তেল মাখার আগে তাতে কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল মিশিয়ে নিন। পেপারমিন্ট অয়েলে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ রয়েছে যা স্ক্যাল্প ফ্রেশ রাখে।
চুল সারাক্ষণ বেঁধে রাখবেন না
চুল কিন্তু সারাদিন বেঁধে রাখবেন না! গরম এড়াতে অনেকে সেই কাজটাই করেন, ফলে চুলের গোড়ায় খুব ঘাম জমে যায়। মাঝেমাঝে চুল খুলে পাখার নিচে বসুন, ভালো করে চুলটা শুকিয়ে নিন।
ভেজা চুল বাঁধবেন না
চুল ভেজা অবস্থায় বেঁধে রাখলে চুলের ক্ষতি তো হয়ই, চুলের গোড়ায় ঘামও জমতে থাকে। চুল ভালো করে শুকিয়ে তবে আলগা করে বেঁধে রাখবেন। খুব টাইট করে বাঁধলে গোড়ায় চাপ পড়ে চুল দুর্বল হয়ে যাবে।
ভরসা রাখুন হেয়ার মাস্কে
বিশেষ বিশেষ হেয়ার মাস্ক চুলে ঘাম আর তেল জমা কমাতে পারে। তিন টেবিলচামচ লেবুর রসের সঙ্গে দু’ টেবিলচামচ ডাবের জল মিশিয়ে সেটা স্ক্যাল্পে ভালো করে ঘষে ঘষে মেখে নিন। 15 মিনিট রাখুন, তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। স্ক্যাল্প পরিষ্কার হবে, চুলে একটা তরতাজা গন্ধও থাকবে।
কখনও স্ক্যাল্প মাস্ক ট্রাই করে দেখেছেন?
স্ক্যাল্প তেলহীন ঝরঝরে রাখার জন্য বিশেষ মাস্ক পাওয়া যায়, তেমন কিছু ট্রাই করে দেখার কথা ভেবেছেন কখনও? একবার আপনার স্ক্যাল্পের প্রকৃতির সঙ্গে মানানসই প্যাক ব্যবহার করে দেখুন, ফারাকটা বুঝতে পারবেন।
কেমিকাল প্রডাক্ট ব্যবহার কমান
অন্তত গরমের কয়েকটা মাস হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না। তাতে স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
রোজ ভালো করে জল দিয়ে মাথা ধোবেন
জল দিয়ে খুব ভালো করে মাথা ধুয়ে নেওয়া একান্ত জরুরি। তাতেও মাথার তালু পরিষ্কার থাকবে। তবে ঘরের তাপমাত্রার জল ব্যবহার করা উচিত। খুব ঠান্ডা বা গরম জল সমান খারাপ।