চাকরির সংকট এমনই একটা সমস্যা যা খুব ঘনিষ্ঠ মানুষের সঙ্গে ছাড়া শেয়ার করা যায় না। দীর্ঘদিন চাকরি না পেলে, চাকরি হঠাৎ চলে গেলে মনের মধ্যে যে চাপ তৈরি হয়, তা একা সামাল দেওয়া কঠিন। কর্মহীন হয়ে বসে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে আত্মবিশ্বাসের ভিত্তিটাই।
কিন্তু আজকের নিউ নরমালে দাঁড়িয়ে তো সেটাই দস্তুর! এমন বহু পরিবার আছে, যেখানে কাজ হারিয়েছেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। যাঁদের চাকরি আছে এখনও, তাঁদের মাইনে কমেছে, বেড়েছে চাপ। তার চেয়েও বড়ো কথা, দুশ্চিন্তা তো পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই!
কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আস্থা হারিয়ে মুষড়ে পড়াটাও তো কোনও সমাধান নয়। বিশেষ করে যাঁদের সংসার আছে, তাঁদের মনের জোর ধরে রাখতেই হবে। এই পরিস্থিতিতে পরস্পরকে দোষারোপ করলে কিন্তু স্ট্রেস আরও বাড়বে। ইতিবাচক মানসিকতার পরিচয় দিন। এমন সংকটের মুহূর্ত যাতে আপনারা শক্ত হাতে সামাল দিতে পারেন, তার কিছু টিপস দিলাম আমরা।
খরচের ব্যাপারটা সামাল দিন
পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি কেমন, সঞ্চয়ের অর্থ দিয়ে কতদিন চলবে, তার একটা হিসেব করে নিন। অপ্রয়োজনীয় খরচ, বিলাসিতা সম্পূর্ণ বাদ দিন জীবন থেকে। প্রয়োজনে খুব নিকট কোনও বন্ধু বা আত্মীয়ের কাছ থেকে ঋণ নিতে পারেন, পরিস্থিতি ভালো হলে তা শোধ করে দেবেন।
ভুলভাল বিনিয়োগ বা ব্যবসায় টাকা লাগাবেন না
আবেগে ভেসে যাবেন না, যুক্তি দিয়ে ভাবুন। খুব ভালো রিটার্নের প্রলোভন থাকলেও এই মুহূর্তে কোনও বিনিয়োগের রাস্তায় হাঁটবেন না। যেখানে যা টাকা আছে, এক জায়গায় এনে রাখুন, যাতে দরকারে সেখান থেকে খরচ করতে পারেন। মেডিক্লেম পলিসি বন্ধ করবেন না, আপডেটেড রাখুন।
মুখ বন্ধ রাখুন
চাকরি নিয়ে বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়দের সঙ্গে অকারণে আলোচনা করতে যাবেন না। শুধু সেই সব ব্যক্তিদেরই কথাটা জানাতে পারেন, যাঁরা আপনাদের নতুন চাকরি খুঁজতে সত্যিকারের সাহায্য করতে পারবেন। আপনার সমস্যা আপনাকেই সামলাতে হবে। দশজনকে বলে বেড়িয়ে কোনও লাভ নেই।
নিজের মতো করে কিছু গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারেন
যদি মনে হয় যে আপনার বিশেষ কোনও ট্যালেন্ট বা স্কিল আছে, তা হলে সেটার উপর ভর করে নিজের মতো করে একটা কিছু গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারেন। তবে বিরাট বিনিয়োগের রাস্তায় হাঁটবেন না গোড়াতেই। টাকা খরচ করুন খুব ভেবেচিন্তে।