সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে সর্বভারতীয় টিভির চেনা মুখ ও জনপ্রিয় দম্পতি করণ মেহরা আর নিশা রাওয়ালের সম্পর্কের অবনতি ও সমস্যা নিয়ে। করণ-নিশা ছিলেন যাকে বলে ‘ইট কাপল’। এক দশকের বেশি সংসার, স-পুত্র সফল দাম্পত্যের নমুনা ছড়িয়ে থাকে তাঁদের সোশাল মিডিয়ার পাতায় – সেটাই তাঁদের ব্র্যান্ড ভ্যালু, সেই বাবদ অজস্র বিজ্ঞাপনের কাজ করে তাঁরা উপার্জন করেন।
ক’দিন আগেই জানা গেল যে নিশা করণের নামে দাম্পত্য হিংসার অভিযোগ এনেছেন, করণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসলে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা কোর্টে উঠবে এবার, খোরপোশ নিয়ে সেটেলমেন্টের জেরেই নাকি মারামারি হয়েছিল। তাতে নিশার মাথা ফেটে যায়। নিশা বলছেন করণ তাঁকে নিয়মিত মারেন, তাঁর অবৈধ সম্পর্কও আছে। করণের অভিযোগ, নিশার বাইপোলার ডিসঅর্ডার আছে, তিনি নিজের মাথা দেওয়াল ঠুকে নিজেই ফাটিয়েছেন।
ভক্তরা সব দেখে-শুনে অবাক – তা হলে এত সুখের ছবি সামাজিক মাধ্যমে, তার পুরোটাই মিথ্যে? এই মিথ্যের মধ্যে তা হলে দু’ তরফের মা-বাবা, ভাই-বোন সবাই জড়িয়ে? নিশা আর করণের সেলেব্রিটি বন্ধুরা এক এক করে পক্ষ বেছে নিচ্ছেন। একদলের বক্তব্য, করণ ‘বিগ বস’ হাউসে বন্দি থাকার সময় চরম চাপের মুখের মাথা গরম করেননি কোনওদিন – তিনি বউকে মারবেন, এ হতে পারে না। উলটে নিশা বরাবর মাথা গরম। নিশার বন্ধুদের বক্তব্য হচ্ছে, তাঁরা নিশাকে আগেও মার খেয়ে আহত হতে দেখেছেন।
দাম্পত্য হিংসা কোনও লিঙ্গভিত্তিক হয় না – নারী, পুরুষ উভয়ই এর শিকার হতে পারেন। আর একবার তা শুরু হলে কিন্তু আর কখনও থামানো যায় না। নিশা আর করণ দু’জনই বলেছে, তাঁরা ভেবেছিলেন অন্যজন শুধরে যাবে, তাই দিনের পর দিন অসভ্যতা সহ্য করেছেন। কার্যত তা হয় না। তাই প্রথম থেকেই এই লক্ষণগুলি দেখলে সতর্ক হোন। আর হ্যাঁ, প্রবল প্রেম করে বিয়ে করার পরেও হিংসার শিকার হতে পারেন – একসঙ্গে থাকতে না আরম্ভ করলে একজন মানুষকে পুরোপুরি চেনা যায় না।
. আপনার টাকাপয়সা কোথায় কীভাবে থাকবে, আপনি কাদের সঙ্গে মিশবেন, কখন বাইরে যাবেন ইত্যাদি সব ব্যাপারেই আপনার পার্টনার শেষ কথা বলতে চাইবেন। সম্পর্কে থাকা মানেই কারও অধীনে থাকা নয়, এ ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন।
. রেগে গেলেই অকথ্য গালিগালাজ, হাতাহাতি, নিজেকে আঘাত করতে আরম্ভ করেন – এটা কিন্তু কখনও, কোনওদিনও কমবে না বরং বাড়তেই থাকবে।
. অতিরিক্ত পজেসিভ ও সন্দেহবাতিক হওয়া। সম্পর্কে পজেসিভনেস থেকে কিন্তু অনেক জটিলতা তৈরি হতে পারে, এ সবের বাড়াবাড়ি মোটেই ভালো নয়।
. যৌন সম্পর্কে জোর খাটানো। না, এটা তো একেবারেই স্বাভাবিক নয়। এগুলিকে প্রশ্রয় দেওয়া মানেই বিপদ ডেকে আনা।
. আপনার সঙ্গী কি সব সমস্যার জন্য কেবল আপনাকেই দায়ী করেন? কোনও অ্যাবিউসারই নিজে কোনও দায়িত্ব নিতে চান না।
. ‘নেশার ঘোরে ভুল করে ফেলেছি’টা কোনও অজুহাত নয়। ওই নেশাও ছাড়বে না, হিংসাও শেষ হবে না!