১. বেকিং
কেক বা পাউরুটি বানানো থাকবে তালিকার একেবারে শীর্ষে। ইন্টারনেট জানাচ্ছে, সবচেয়ে জনপ্রিয় আইটেম হচ্ছে বানানা ব্রেড। ঘরে পাকা, মজে যাওয়া কলা, আটা/ময়দা, ডিম, দুধ, মাখন/ সাদা তেল আর চিনি থাকলেই এই উপাদেয় বস্তুটি বানিয়ে ফেলা সম্ভব। আভেন ছাড়া কীভাবে কেক বানানো যায়, তা নিয়ে ইউটিউবে অজস্র ভিডিও আপলোড হয়েছে গত এক বছরে। তাই আভেন নেই বলে বেকিং করা যাবে না – এমন মত আঁকড়ে বসে থাকবেন না।
২. বাগান করা
সবুজের ছোঁওয়া মন ভালো রাখে। তার চাইতেও বড়ো কথা হচ্ছে, গাছের জন্য সকাল-বিকেল খানিকটা সময় বরাদ্দ করলেই আপনার বাড়ির ছাদে, বারান্দায় বা জানলার পাটায় নিজস্ব বাগান তৈরি করে ফেলতে পারবেন খুব সহজে। টব থাকলে ভালো, না হলে কানা ভাঙা কাপ, প্লাস্টিকের বোতল, কৌটো ইত্যাদির মধ্যেও গাছ লাগানো যায় – কেবল বাড়তি জল বেরনোর একটা রাস্তা থাকলেই হবে।
গাছ কেনারও দরকার নেই – ইউটিউবে একটা সার্চ দিয়ে দেখুন – আপনার রোজের ব্যবহারের সবজি বা ফলের বীজ থেকেই কেমন সুন্দর গাছ হতে পারে! আর যাঁদের বাড়িতে সরাসরি রোদ ঢোকে না, তাঁরা অবশ্য লো লাইটে ভালো হয় এমন পাতাবাহার গাছ কিনতে পারেন।
View this post on Instagram
৩. ব্যায়াম
অনেক মানুষ নতুন করে ব্যায়াম বা যোগাভ্যাস শুরু করেছেন, বিনা পয়সায় বহু অনলাইন টিউটোরিয়ালও আছে – তার কোনও একটিতে যোগ দিলে নিজের স্বাস্থ্যের উন্নতিও হবে। তবে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, যাঁরা কোনওদিন ব্যায়ামের চর্চা করেননি, তাঁরা হুট করে ওয়েট ট্রেনিং করতে যাবেন না। শরীরে কোথাও টান লেগে গেলে মুশকিলে পড়বেন। তবে যোগাভ্যাস, প্রাণায়াম, স্ট্রেচিং ইত্যাদি করাই যায়।
৪. আর্ট আর ক্রাফটের চর্চা
আমাজন বা অন্য সব ই-টেলার প্রচুর ক্রাফট কিট বিক্রি করেছে লকডাউনের সময়ে। উল বা ক্রুশ বোনা, এমব্রয়ডারি, হাতে বুকমার্ক বা ছোটো মডেল তৈরির শখ বেড়েছে মানুষের। বেড়েছে ছবি আঁকা বা রং করাও। বাড়ির বাচ্চা বা বয়স্কদেরও সঙ্গে নিন এই সব কাজে – তাতে সবার সময় ভালো কাটবে।
৫. টিভি বা ওয়েব সিরিজ দেখা
একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে ওয়েব সিরিজ, সিনেমা বা নানা শো দেখার হবিও তৈরি হয়েছে অনেকের। তবে একটানা বসে শো দেখার পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর ভাজা খাবার খেলে কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন, বাড়তে পারে ওজন।