বাজেট পেশের সময়ে কর্মক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলাদের সমানাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে বিশেষ জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বলেছেন যে কোনও পেশায় মহিলারা কাজ করতে পারবেন, সেই সঙ্গে নাইট শিফটে কাজ করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তবে মহিলা কর্মীর সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে নিয়োগকর্তাকেই।
আইটি সেক্টর, সাংবাদিকতা, স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে অবশ্য মহিলা কর্মীরা নাইট ডিউটি করেন অনেকদিন ধরেই। কিন্তু তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ছিল এবং আইনের আওতায় তাঁরা কোনওও সুরক্ষা পেতেন না। অনেকেই কাজের শেষে নিজের দায়িত্বে প্রাণ হাতে করে বাড়ি ফিরতেন পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চেপে।
কিছুদিন আগেই ভারত সরকার ফ্যাক্টরিজ অ্যাক্টে কিছু পরিবর্তন এনেছে অ্যাসোচ্যামের সুপারিশ মেনে। সেই পরিবর্তনের বলে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত যে ঘোষিত নাইট শিফট থাকে কলকারখানায় বা এসইজেড-এ, সেখানেও কাজ করতে পারবেন মহিলা কর্মীরা। তবে সেই সঙ্গে নিয়োগকর্তাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন মহিলার সম্মান রক্ষিত হয় সর্বক্ষেত্রে, তাঁর যাওয়া-আসার নিরাপত্তা যেন সুনিশ্চিত হয়।
তবে সবার আগে নাইট শিফটে কোনও মহিলাকে নিয়োগ করার আগে তাঁর সম্মতি নিতে হবে। আপনার নিয়োগকর্তা বা উপরওয়ালা বিনা সম্মতিতে আপনাকে জোর করে রাতের বেলা কাজ করতে বাধ্য করতে পারবেন না। সোশাল সিকিউরিটি কোড ২০২০-র আওতায় সমস্ত মহিলা কর্মীকে মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সব সুযোগসুবিধা দিতে হবে।
নাইট শিফটে যে সব মহিলা কাজ করবেন, তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে আনতে হবে এবং কাজের শেষে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে। মহিলা কর্মীরা যে সব এন্ট্রি আর এক্সিট পয়েন্ট ব্যবহার করবেন, সেগুলিতে যেন পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকে, তা দেখতে হবে। অফিসে টয়লেট, পানীয় জলের সুব্যবস্থা থাকতে হবে এবং সেগুলি মহিলাদের ওয়ার্ক স্টেশন থেকে খুব বেশি দূরে হলে চলবে না।
কোনও মহিলার যদি মনে হয় যে তিনি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের শিকার হচ্ছেন, তা হলে তৎক্ষণাৎ যেন তিনি তা কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে পারেন, সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।