ধীরে ধীরে গোটা দেশেই অ্যাকটিভ কোভিড রোগীর সংখ্যা কমছে, কিন্তু পাশাপাশি মাথাচাড়া দিচ্ছে অন্য নানা অসুখ। বিশেষ করে বর্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জা।
এর লক্ষণও কোভিডের কাছাকাছিই, সাধারণ ফ্লু হয়ে নাক বন্ধ থাকলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে, খাবারে স্বাদ পাবেন না। কোভিড রিপোর্ট তো নেগেটিভ আসবেই। বুকে সর্দি বসতে পারে। আগের থেকে বেড়েছে সোয়াইন ফ্লু-এ আক্রান্তের সংখ্যাও। আর কিছুদিন পরেই ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ার দাপটও শুরু হয়ে যাবে। তাই সাবধানে থাকাটা একেবারে প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত।
বর্ষাকালে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়, সে কারণেই নানা ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। তার প্রভাবেই জ্বর-জারি হয়। আচমকা বৃষ্টিতে ভিজলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফিরে ভালো করে স্নান করুন, পোশাক বদলে নিন। যাঁরা অফিস যাচ্ছেন, তাঁরা সেখানেই একসেট শুকনো জামাকাপড় রাখুন। ভেজা পোশাকে থাকলেই সমস্যা বাড়বে।
জ্বরের সঙ্গে কাশি-গলাব্যথা, হালকা শ্বাসকষ্ট থাকলে বেশি দেরি না করে ডাক্তার দেখিয়ে নিন। তিনি প্রথমে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাবেন, কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট এলে প্যানিক করবেন না। তার পর সিম্পটম দেখে চিকিৎসা শুরু হবে। বেশি জ্বর এলে কিছু নিজের দায়িত্বে ওষুধ খাওয়া উচিত নয়, ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। কোন অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে, সে সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন।
ইনফ্লুয়েঞ্জা কিন্তু ছোঁয়াচে, একজনের হলে বাকি সবারও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। অসুস্থ মানুষকে একটা ঘরে আলাদা রাখা সম্ভব হলে খুব ভালো হয়। তার পোশাক-আশাক, হাঁচি-কাশি থেকেও রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সোয়াইন ফ্লু রোগীকেও আলাদা রাখতে হবে। তার হাঁচি-কাশি থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে মাস্ক পরে থাকা উচিত।
আর একটা বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরে অনেকেরই প্লেটলেট কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বেশিরভাগ ডাক্তারই একে কোভিডের সাইড এফেক্ট বলে মনে করছেন। তবে ডেঙ্গি হলেও প্লেটলেট বা অণুচক্রিকা কমে যায়।
. তাই জ্বর এলেই সময় নষ্ট করবেন না, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
. কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এলে প্যানিক করবেন না, ডাক্তারের কথা শুনুন। পরবর্তী ট্রিটমেন্ট কী হবে, সে বিষয়ে তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন।
. কারও জ্বর এলে বাড়ির বাকি সবাই তার থেকে একটু দূরে থকুন। বাচ্চা অসুস্থ হতে পারে – বয়স্কদের সেক্ষেত্রে দূরে রাখতে হবে।
. বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লাগাবেন না।
. ইচ্ছেমতো ওষুধ খাবেন না।