# ১
অন্যজনের প্লাস আর মাইনাস পয়েন্টগুলো জেনে তবেই এগোন
কোনও মানুষ, কোনও সম্পর্কই পারফেক্ট হয় না। সবার দোষ-গুণ থাকে। আপনি কোনটাকে অগ্রাধিকার দিতে চান, সেটা ভেবে দেখুন। যদি মনে হয়, যে মানুষটি খুব সাজতে ভালোবাসে বা যে সব সময় লেট করে আসে, তার সঙ্গে সারা জীবন কাটানো সম্ভব নয় – তা হলে আগেই সরে যাওয়া ভালো।
আবার যদি খতিয়ে দেখার পর বুঝতে পারেন যে, সাজগোজ করা লোকটার মন খাঁটি সোনার মতো সুন্দর, বা লেট-লতিফ আপনাকে সারাক্ষণ খুশি রাখার জন্য প্রাণপাত করতে পারেন – তা হলে কী করবেন?
আপনার যেটা পছন্দ নয়, অন্যজনের কাছে হয়তো সেটা ধর্তব্যের মধ্যেই পড়ে না – তার কারণ আপনারা মানুষ হিসেবে আলাদা।
# ২
সন্দেহ করবেন না
যদি মনে হয় সঙ্গী অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলুন সরাসরি। তার আগে মনে রাখবেন, দীর্ঘ দাম্পত্যে ভালো-মন্দ নানা সময় আসে। আর কাউকে ভালো লাগলেই যে সব সময় সংসার বা সম্পর্ক ভেঙে মানুষ বেরিয়ে যেতে চায়, তা-ও নয়। কিন্তু সন্দেহের কাঁটাটা মনের মধ্যে রাখবেন না। তাতে সমস্যা বাড়ে।
অনেকে সঙ্গীর পুরোনো সম্পর্ক নিয়েও দুশ্চিন্তায় ভোগেন। একটা মানুষের জীবনের নানা সময়ে নানা ঘনিষ্ঠতা হয়ে থাকতে পারে, তা নিয়ে বার বার খুঁচোলে আপনার কিছু লাভ হবে না। প্রতিটি দিন মধুর করে তোলার চেষ্টা করুন, ভরিয়ে তুলুন আনন্দে। তা হলে এসব সমস্যাও হবে না।
# ৩
আর্থিক-সাংসারিক দায়িত্ব ভাগ করে নিন
যে সব সম্পর্কে আর্থিক জটিলতা থাকে না, সেগুলি বেশিদিন টেকে। সংসার দু’জনের হলে টাকাপয়সাও দু’জনের – কোনও অস্বচ্ছতা থাকার কথা নয় সেখানে। ঘরের কাজকর্ম, বড়োদের দায়িত্ব নেওয়াটাও ভাগাভাগি করে নিতে হবে।
এতদিন মেয়েরা নিঃস্বার্থভাবে স্বামীর পরিবারের সকলের সেবা করেছেন। এখন অনেক মেয়েই একমাত্র সন্তান, তাঁরাও আশা করেন যে তাঁদের অভিভাবকের দায়-দায়িত্ব স্বামীটি ভাগ করে নেবেন। বা তাঁর বাবা-মায়ের কাছেও মাঝে মাঝে তাঁর গিয়ে থাকা উচিত। এই জায়গায় কোনও সমস্যা তৈরি হতে দেবেন না। ব্যাপারটা কিন্তু খুব একটা কঠিন নয়।
# ৪
অন্যদের সামনে সঙ্গীর সমালোচনা করবেন না
দাম্পত্য মানে আপনারা একটা ইউনিট। যদি মনে হয় অন্যজন এমন কিছু করছেন যেটা আপনার ভালো লাগছে না, সরাসরি তাঁকে বলুন। এই জন্যই বলা হয় যে সম্পর্কে কমিউনিকেশন অত্যন্ত জরুরি।
কখনওই অন্যের সামনে আপনার সঙ্গী /স্ত্রী/ স্বামীকে ভুল প্রমাণ করতে যাবেন না, তাতে কোনও লাভ নেই। ভুল সিদ্ধান্ত নিলে তার দায় নিন, দোষারোপ করবেন না। নিজেদের মতান্তর মেটান ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে। মাঝে মাঝে এমন কিছু করুন যেটা অন্যজনের ভালো লাগে – ছোটো ছোটো বিষয়ও মানুষকে খুব আনন্দ দেয়।
# ৫
নিজের জন্য খানিকটা স্পেস রাখুন, অন্য জনকেও দিন
স্রেফ কারও সঙ্গে আছেন বলেই নিজের সব শখ-আহ্লাদ বিসর্জন দেবেন না, তার চেয়ে বড়ো বোকামি হয় না! ইন ফ্যাক্ট, কেউ যদি সম্পর্কে থাকার বিনিময়ে আপনাকে কোনও পছন্দের কাজ করতে বারণ করেন, তা হলেও সতর্ক হোন।
প্রথম দিকে ভালো লাগলেও পরে কিন্তু এই সব বিধিনিষেধই গলার ফাঁস হয়ে উঠবে। নিজের নিজের বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খানিকটা সময় কাটানো বা কোনও হবির চর্চা করলে মন ভালো থাকবে।