দেখতে দেখতে প্রায় বছরখানেক হয়ে গেল গৃহবন্দি দশার। হ্যাঁ, এ কথা ঠিক যে করোনা ভাইরাসের দাপট আর আগের মতো নেই, রোজ কমছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনই যে সব নিষেধাজ্ঞা ভুলে যাওয়ার সময় আসেনি, তা বারবার বলে দিচ্ছেন ডাক্তাররা। সাবধান হয়ে থাকতে হবে আরও অন্তত বছরখানেক।
কিন্তু ঘরবন্দি প্রাণটাও তো ছটফট করছে, তাই না? কাঁহাতক আর এক জায়গায় আটকা পড়ে থাকা যায় হাতে গোনা কয়েকটা মানুষের সঙ্গে? বিশেষ করে যাঁরা প্রায়ই দল্বল জুটিয়ে বেরিয়ে পড়তে অভ্যস্ত, তাঁদের তো খাঁচায় আটকা পড়া পাখির মতো অবস্থা! তবে খুব সাবধান হয়ে ডে ট্রিপ বা কাছাকাছি কোথাও বেড়িয়ে আসতে পারেন।
এখানে একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন – কোভিডকে তখনই হারানো সম্ভব যখন গোটা সমাজের সব সদস্য একে অপরকে সুরক্ষিত রাখার দায় তুলে নেবেন নিজের কাঁধে। তাই সামান্য অসুস্থ বোধ করলেও বাড়ির বাইরে কোথাও বেরোবেন না, বেড়াতে যাওয়ার প্রোগ্রাম একেবারে শেষ মুহূর্তে বাতিল করতে হলেও কোনও অসুবিধে নেই, তাতে আপনার ও অন্য সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
এবার প্রশ্ন, কোন ধরনের যানবাহনে বেড়াতে যাওয়া সবচেয়ে সুবিধেজনক? দূরে কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে সেরা অপশন এরোপ্লেন – তবে খরচ বেশি। মুখে সর্বক্ষণ মাস্ক আর ফেস শিল্ড পরে থাকুন। হাতে গ্লাভস পরলেও খুব ভালো হয়। বাথরুম ব্যবহার করতে গেলে টয়লেট সিট স্যানিটাইজার ইউজ করুন। সমস্ত মালপত্রের উপর কভার থাকা উচিত, সেটা পরে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
বড়ো দলে কোথাও গেলে গাড়ি ভাড়া করে নিন, দেখে নেবেন গাড়িটা যেন যথাযথভাবে স্যানিটাইজ করা হয়। ভাড়াটা সবাই মিলে ভাগ করে নিলে গায়ে লাগবে না। খাবার আর জল ক্যারি করলেও ভালো করবেন। বাইরে খাওয়ার ব্যাপারটাকে এখনও পুরো নম্বর দিচ্ছেন না চিকিৎসকেরা, সঙ্গে বয়স্ক মানুষ থাকলে তো কোনও রিস্ক নেওয়া উচিত নয়। হ্যাঁ, পথে বাথরুম ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে নিশ্চয়ই, সেখানেও খুব সতর্ক থাকা প্রয়োজন। চা-কফি খাওয়ার জন্য ভরসা রাখুন কাগজের কাপের উপর।
মাস্ক ব্যবহার করুন সব সময়ে। খুব ভিড় রেস্তোরাঁ বা পিকনিক স্পট এড়িয়ে চলতে পারলে ভালো হয়। স্যানিটাইজার লাগান, হাত ধুয়ে ফেলুন বারবার। সেই সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার পর যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলে ময়লা করে আসবেন না। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ক্যারি করতে ভুলবেন না, সেই সঙ্গে রাখুন বাড়তি মাস্কও।
ফোটো: ইনস্টাগ্রাম