সম্প্রতি নীতি আয়োগের উচ্চপদস্থ কর্তা ও সরকারের টিকাকরণ বিভাগের প্রধান ডা. ভি কে পল পরামর্শ দিয়েছেন, বাড়ির ভিতরেও সবার মাস্ক পরে থাকা উচিত, তাতেই সংক্রমণ ঠেকানো যাবে।
তার পর থেকে নেট মাধ্যমে বিতর্কের ঝড় উঠেছে, একদল ডাক্তার এর পক্ষে কথা বলছেন, অন্যদল তা মানতে নারাজ – তাঁদের বক্তব্য, তা হলে মানুষের মনে আতঙ্ক চেপে বসবে, ব্যাহত হবে মানসিক সুস্থতা। কোনটা ঠিক? ভুলই বা কোনটা? কীভাবে এই মারণ ভাইরাসকে আপনি জব্দ করতে পারবেন? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
. আমাদের প্রথম পরামর্শ হচ্ছে, মাথা ঠান্ডা রাখুন। যা করছেন সেটা যুক্তিগ্রাহ্য মনে হচ্ছে কি? ধরুন বাড়িতে কারও জ্বর হয়েছে, বা কেউ কাশছেন, অথবা ক’দিন ধরে আপনারই গলা খুসখুস করছে – এই পরিস্থিতিতে নিরাপদ থাকার জন্য আপনি অবশ্যই মাস্ক পরবেন ঘরের ভিতরেও।
. ছোটো বাচ্চার জ্বর এসেছে? কোভিডের লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন? তার কাশি হয়েছে? হ্যাঁ, আপনি এই অবস্থায় মাস্ক পরবেন নিজেকে ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য।
. বাড়িতে বাইরে থেকে কেউ এসেছেন? ডেলিভারি বয়, সোয়াব কালেকশনের লোক, ইলেকট্রিশিয়ান বা আপনার সহায়ক? মাস্ক পরা উচিত। বিশেষ করে বয়স্কদের।
. আপনার কো-মর্বিডিটি আছে এবং বাড়ির কেউ স্বাস্থ্যকর্মী? মাস্ক পরে থাকা উচিত তাঁর সামনে। যিনি স্বাস্থ্যকর্মী, তাঁর উচিত আইসোলেশনে থাকা। বাড়ির কারও সঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করা, একসঙ্গে টিভি দেখা বা বাথরুম ব্যবহার বিপজ্জনক হতে পারে।
তবে এ সবের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
. সবাই বাড়ির বাইরে বেরোবেন না, একজন বাজার-হাট ইত্যাদির দায়িত্ব নিন। তাঁর পোশাক-আশাক, মাস্ক যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করাটা সহজ হবে। সবাই বাইরে বেরোলে ইনফেকশনের চান্স বাড়বে।
. বাইরে বেরোলে এখন দুটি মাস্ক পরুন। ভিতরে সার্জিকাল, বাইরে এন-৯৫ বা কাপড়ের দ্বি-স্তর মাস্ক। ঘরের বাইরে মাস্ক পরাটাকে এখনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না বেশিরভাগ মানুষ। এই দুঃসাহসীদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন।
. বাড়ির জানলা-দরজা খোলা রাখুন। ঘর জীবাণুমুক্ত রাখার এর চেয়ে ভালো উপায় আর হয় না।
. যাঁরা অ্যাস্থমা, সিওপিডি বা ক্রনিক কোনও অসুখে ভোগেন, তাঁরা বাড়ি ধুলো-মুক্ত রাখুন। সমস্ত ওষুধ ও ইনহেলার নিন নিয়ম করে।
. পরিবারের সবাই নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। টিভি দেখার সময়েও খুব কাছাকাছি বসবেন না।