আমরা সারাদিন যে কাজ করি, তার জন্য লাগে এনার্জি। আর এনার্জির জোগান দেয় রক্তের গ্লুকোজ বা শর্করা। এই শর্করার জোগান কোথা থেকে আসে? আমরা যে সব খাবার খাই, তার থেকে – খাবার হজম হয়ে গ্লুকোজে পরিণত হয়, আর ইনসুলিন হরমোনের সাহায্যে সেই চিনি ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীরে।
যাঁদের রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি, তাঁদের অনেক সময় বাইরে থেকে সিন্থেটিক ইনসুলিন দেওয়া হয়, না হলে সুগার নিয়ন্ত্রণের ওষুধ তো থাকেই। খাওয়া-দাওয়াতেও নানা রেস্ট্রিকশন থাকে। তার পর যদি কোনওদিন খেতে দেরি হয়ে যায় বা শরীর বেগড়বাঁই করে, তা হলে সুগার লেভেল আচমকা কমে যেতে পারে।
বুঝতেই পারছেন, তার ফল মারাত্মক হতে পারে? হঠাৎ করেই এনার্জির জোগান কমে গেলে চোখের সামনে অন্ধকার নেমে আসতে পারে, জ্ঞান হারাতে পারেন মানুষ। রাস্তায় বা কাজে থাকলে মাথা ঘুরে বসে পড়লে কী বিপদ হতে পারে ভাবতে পারছেন? অনেকের হাত-পা কাঁপতে থাকে। কারও মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায়। সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধে হয়।
এমনটা বার বার হতে থাকলে ডাক্তারকে অতি অবশ্যই জানিয়ে রাখুন – এটা প্যাটার্ন হিসেবে সেট হতে দেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে হাতের কাছে এমন কয়েকটি খাবার রাখুন যা সুগার লেভেল বাড়িয়ে দেবে খুব তাড়াতাড়ি। সেই সঙ্গে বড়িতে ডায়াবেটিস রোগী থাকলে সুগার মাপার যন্ত্র অবশ্যই রাখুন। যদি এই ধরনের কোনও লক্ষণ দেখেন, তা হলে আগে সুগার মাপুন। তার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
. গ্লুকোজ বা চিনি
. ফলের রস (প্যাকেটবন্দি ফলের রস হলেও চলবে)
. সফট ড্রিঙ্ক (সুগারফ্রি নয়)
. মিষ্টি (রসগোল্লা, ভাজা মিষ্টি, কেক – তবে শরীর খুব অসুস্থ লাগলে রোগী কতটা খেতে চাইবেন বলা যাচ্ছে না, তাই তরল দেওয়াই ভালো)
. দিতে পারেন কিশমিশ বা খেজুরও
যাঁরা ব্লাড সুগারে ভোগেন, তাঁরা সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার কম অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না। খালি পেটে ওয়ার্কআউট করবেন না। কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ দিয়ে দেবেন না খাদ্যতালিকা থেকে। কতটা ইনসুলিন নিচ্ছেন বা ওষুধ খাচ্ছেন সেটা অবশ্যই ডাক্তারকে দেখিয়ে নিতে হবে। যেদিন খাওয়ায় অনিয়ম হবে, সেদিন ওষুধের ব্যাপারে আরও সাবধান থাকুন।