একটা কথা কোভিড আমাদের সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছে – ফিটনেসের কোনও বিকল্প নেই। যাঁর শরীর যত বেশি সুস্থ, তিনি তত ভালোভাবে যুঝতে পারেন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সঙ্গে। বয়স হলেও এঁদের ফোকাস নষ্ট হয় না, যে কোনও কাজ সুচারুভাবে সেরে ফেলতে পারেন। সবদিক সামলে চলা কীভাবে সম্ভব, জানতে চান?
# নিজের জীবনের উদ্দেশ্যটা খুঁজে বের করতে হবে
আপনাকে সবার আগে বুঝতে হবে আপনি ঠিক কী চান। মনে রাখতে হবে, সাফল্যের সংজ্ঞা সবার কাছে সমান হয় না। কেউ ঘরের কাজ সুন্দরভাবে সামলানোটাকে তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ভাবতে পারেন – কারও কাছে আবার কর্পোরেট দুনিয়ায় শীর্ষে পৌঁছনোটাই টার্গেট। যাই হোক না কেন, সেটা মেনে নিন, নিজেকে প্রস্তুত করুন এবং লক্ষ্যে অবিচল থেকে এগিয়ে চলুন। মাঝে মাঝেই জীবনে বাধা আসবে, তাতে দমে গেলে কিন্তু চলবে না।
# শারীরিক ফিটনেসের কোনও বিকল্প নেই
রোজের জীবনে যাঁরা অ্যাকটিভ, তাঁরা বেশিদিন সুস্থ ও সুন্দর থাকেন। অ্যাকটিভ বলতে আমরা ঠিক কী বুঝি? প্রথমত, সারাদিন শুয়ে-বসে থাকলে চলবে না। এমন কাজ করতে হবে, যাতে হাঁফ লাগে, গা দিয়ে ঘাম বেরোয়। সেটা হাঁটা, জগিং, নাচ, ওয়েট ট্রেনিং, যোগাভ্যাস – যা খুশি হতে পারে। এই অ্যাকটিভ থাকার অভ্যেসটা ছাড়লে চলবে না। ৪০ পেরনোর পর মাসল টোনড রাখার জন্য হালকা ওজন নিয়ে ব্যায়াম আর ব্যালেন্স ঠিক রাখার জন্য যোগাভ্যাস করতে পারলে খুব ভালো হয়। অ্যাকটিভ থাকলেই আপনার ত্বক, চুল ও মনের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
# নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করুন
স্রেফ সংসার, কেরিয়ার নিয়ে ভাববেন না, নিজের সঙ্গে খানিক সময় কাটান। নিজেকে গুরুত্ব দিন। ভালো রাখুন। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন – জটিল কিছুর দরকার নেই, হয়তো কয়েকটা কবিতা মুখস্থ করলেন, বা নতুন করে উল বুনতে আরম্ভ করলেন, বা ছেলের অঙ্ক বইটা উলটে পালটে দেখলেন কী আছে। নতুন কিছু শিখলে আপনার ব্রেন তরতাজা থাকবে বেশিদিন।
# পুষ্টিকর খাবার খান
খুব কম বয়স থেকেই ঠিকঠাক খাবার খাওয়ার অভ্যেস তৈরি করা উচিত। বেশি ভাজাভুজি, ময়দা, বাইরের খাবার, মিষ্টি রোজ খেলে বাড়তি মেদ জমে শরীরে। তবে মাঝে মাঝে খেতেই পারেন – কোনও কিছুই জীবন থেকে বরাবরের মতো বাদ দিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। তা হলেই মানুষ লোভে পড়ে বেশি খেতে আরম্ভ করে। যদি কম পরিমাণে নিয়ম মেনে খান, তা হলে দুধ, ময়দা, চিনি, ডিম, মাছ, মাংস সব খাওয়া যায়, কিছুতেই অসুবিধে হয় না।
# পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
ভালো ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। তাতে শরীর রিচার্জ হয়, বেশিদিন সুস্থ থাকে। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়া ও জেগে ওঠা জরুরি। জীবনে ডিসিপ্লিন থাকলে জরা আপনাকে ছুঁতেও পারবে না।