কিশোর বয়সে ত্বকের কিছু সাধারণ সমস্যা ভোগায় সব ছেলেমেয়েকেই। এ সময় শরীর জুড়ে হরমোনের দাপাদাপি চলে, তার প্রভাবেই ত্বক আর চুলের চরিত্র বদলাতে আরম্ভ করে। তাই ব্রণ, অতিরিক্ত তেলাভাব, ঘামের দুর্গন্ধ ইত্যাদি সমস্যা বেড়ে যায়। এমনিতে বয়স একটু বাড়লে এর বাড়বাড়ন্ত কমে, কিন্তু সঠিক যত্ন না নিলে ত্বকে দাগ-ছোপ পড়ার আশঙ্কা রয়েই যায়।
এখানে একটা কথা বলে নেওয়া দরকার। ত্বক আর চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য একেবারে প্রথম থেকেই সচেষ্ট হওয়া উচিত – এটাও এক ধরনের স্বাস্থ্যকর প্র্যাকটিস। হালকা ফেসোয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে, চুলে দিতে হবে শ্যাম্পু। ত্বকের প্রকৃতির সঙ্গে মানানসই হালকা কোনও ময়েশ্চরাইজার লাগাতে হবে, চুল ধোওয়ার পর দিতে হবে কন্ডিশনার। বেশি ভাজাভুজি খেলে ত্বক খারাপ হবে দ্রুত – তার বদলে বাড়ানো উচিত জল আর ফল খাওয়া। বাড়ির হালকা রান্নার কোনও বিকল্প নেই। আর সেই সঙ্গে দেখতে হবে যেন পেট পরিষ্কার থাকে।
ব্রণ: যে কোনও কিশোর বা কিশোরীর কাছেই ব্রণ অতি বিরক্তিকর একটি সমস্যা। মেয়েদের পিরিয়ড শুরুর আগে বা শেষ হওয়ার পর নিয়ম করে ব্রণ হয় অনেক সময়। কারও ব্রণর আকার ছোটো, কারও কারও আকারে বড়ো, পুঁজে ভরা ব্রণ হয়। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হচ্ছে মনে হলে বা খুব অসুবিধে হলে ডাক্তার দেখিয়ে নিন। ব্রণ খুঁটলে বা টিপে পুঁজ বের করলে কিন্তু বিচ্ছিরি দাগ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। মেকআপ দিয়ে ব্রণ ঢাকা যায়, তবে তাতে সমস্যা আরও বাড়তেও পারে। কোনও ঘরোয়া সমাধান ট্রাই করার আগেও সাবধান – তা সহ্য না হলে উলটো বিপদ হবে।
অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক: ত্বকের সিবেসিয়াস গ্ল্যান্ড অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠার ফলে এমনটা হয়। ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। তবে দিনে বার দুয়েকের বেশি ফেস ওয়াশ ব্যবহার করা উচিত নয়। তার পর জেল বেসড ময়েশ্চরাইজার লাগাতে হবে। খুব ভালো কাজে দেয় অ্যালো ভেরা জেল। সেই সঙ্গে প্রচুর জল খাওয়া দরকার, তাতে বেরিয়ে যাবে সব টক্সিন – ফলে ত্বক ভালো থাকবে।
ঘাম: ঘামের বাড়াবাড়ি একটা সময়ে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, এটাও ঠিক। বিশেষ করে বগলে ঘাম ও তার কারণে দুর্গন্ধ অনেক টিনএজারকে খুব বিব্রত করে। অ্যান্টিপারসপিরান্ট ও ডিওডোরান্ট ব্যবহার করলে খানিক কমবে দুর্গন্ধ, সেই সঙ্গে আন্ডারআর্ম পরিষ্কার করাও একান্ত জরুরি।
খুশকি/ স্ক্যাল্পে চুলকানি: ত্বকের পাশাপাশি স্ক্যাল্পের তেলাভাবও বেড়ে যেতে পারে। তা কমাতে সপ্তাহে তিনবার শ্যাম্পু দেওয়া জরুরি। শ্যাম্পু খুব ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে, তা না হলে শুকনো ফেনা থেকে বাড়তে পারে খুশকির সমস্যা। খুশকি বাড়লে কিন্তু ব্রণও বাড়তে পারে – সেটা মাথায় রাখতে হবে।