আচ্ছা, এমন কাউকে আপনি চেনে, যাঁর মনে জীবন নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই? আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই হয়তো জীবন নিয়ে খুব খুশি, আবার অনেকেরই মনে হয় কিছুই করা হল না – আবার একবার প্রথম থেকে শুরু করতে পারলে খুব ভালো হত! আপনি কোন দলে পড়েন?
সাবালক হওয়ার সময় থেকেই আমাদের সকলের কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত, যা পরবর্তী জীবনটাকে সহজ করে তোলে। চেনা কেউ থাকলে তাকে এই পরামর্শগুলি দিয়ে দেখতে পারেন – কিছু সুবিধে হবেই!
# মা-বাবার সঙ্গে কথা বলা যায় যে কোনও বিষয়ে
স্কুলের শেষ ধাপে পৌঁছনোর সময় থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে নিয়মিত খটাখটি লাগতে আরম্ভ করে বেশিরভাগ সন্তানের। একটা সময়ে তাঁদের শত্রু বলে মনে হয়। আসলে কিন্তু মা-বাবা বা বাড়ির অন্য বড়োরাই আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতে পারেন, সেরা পরামর্শ দিতে পারেন।
কেরিয়ার, সম্পর্ক, স্বপ্ন, অসুবিধে সব বিষয় নিয়ে তাঁদের দ্বারস্থ হওয়া যায়। এমনকী মানসিক সমস্যা বা কোনও অ্যাডিকশন থাকলে তা নিয়েও কথা বলা যায় মা-বাবার সঙ্গে। তাঁরা আপনাকে আগলে রেখে সাহায্য করতেও পিছুপা হবেন না। তবে হ্যাঁ, একটু বকুনি খেতে পারেন – তাতে মন খারাপ করলে চলবে না। তার মধ্যেও মিশে থাকে স্নেহের স্পর্শ।
# টাকা জমানোর অভ্যেস গড়ে তোলা উচিত
হ্যাঁ, এই বয়সে নিত্যদিন নতুন জামাকাপড় পরতে বা বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে গিয়ে কফি খেতে ভালো লাগে। কিন্তু ২৫ বছরে পৌঁছে হাতে বাড়তি কিছু টাকা থাকলে আরও ভালো লাগবে! দামি আইসক্রিম বা পেস্ট্রির জন্য সপ্তাহে এক-আধদিন যথেষ্ট, রোজ বাইরে খাওয়া বা জামাকাপড় কেনার অভ্যেসটাকে প্রশ্রয় দিতে নেই।
# ভালো বই পড়া আর সিনেমা দেখার অভ্যেস করা
এই একটা অভ্যেস যে পরবর্তী জীবনে কতটা সাহায্য করবে, তা ভেবে শেষ করতে পারবেন না! যে ভাষায় আপনি স্বচ্ছন্দ, সেই ভাষার সেরা বই পড়ে ফেলুন, জমিয়ে সিনেমা দেখুন। এতটা সময় পরে আর কোনওদিন পাবেন না!
# শরীরের যত্ন নেওয়া
কথায় বলে, হেলথ ইজ ওয়েলথ। একটা বয়সে পৌঁছে বুঝতে পারবেন যে, সুস্থ শরীর হচ্ছে মানুষের সবচাইতে বড়ো সম্পদ। তাই কিছু না কিছু ব্যায়াম করুন, তাতে ত্বক আর চুলের স্বাস্থ্যও খুব ভালো থাকবে – আপনাকে মেকআপ লাগাতে হবে না।
# এমন একটা হবি বেছে নেওয়া যার চর্চা সারা জীবন করা যাবে
নাচ, গান, ছবি আঁকা, সমাজসেবা – কত কী যে করা যায় অবসর সময়ে! পছন্দসই কিছু একটা বেছে নিয়ে তার চর্চা করা উচিত – পরে কখনও বোর লাগবে না!