এ কথা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই যে খুশকি হচ্ছে একটি অতি বিরক্তিকর সমস্যা এবং তা নারী ও পুরুষকে সমানভাবে বিব্রত করে। অনেকের চুলে শীতকালে বেশি খুশকি হয়, কেউ কেউ আবার সারা বছরই এই সমস্যায় ভোগেন।
কিছু ক্ষেত্রে সমস্যাটা ডাক্তার দেখিয়েই সারাতে হয়। তবে কিছু সাধারণ নিয়ম মানলেও উপকার পেতে পারেন।
তরল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান: শরীরের আর্দ্রতার মাত্রায় হেরফের হলে কিন্তু একেবারেই চলবে না। কারণ আর্দ্রতায় টান পড়লেই বাড়বে খুশকির আক্রমণ। তাই জল, স্যুপ, দইয়ের ঘোল, মিল্কশেক, ফল, শাকসবজি খান। খুশকিও এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন, তা ঠেকাতে পারে ভিটামিন সি। আমলকীর রস, কমলালেবু যোগ করুন রোজের খাদ্যতালিকায়। ভিটামিন বি আর জ়িঙ্কের ঘাটতি হলেও চলবে না।
মাথায় প্রাকৃতিক তেল লাগান: নারকেল, আমন্ড, অলিভ বা সরষের তেলের মধ্যে কোনটি আপনার চুল সুস্থ রাখতে সবচেয়ে কার্যকর? সেটি অল্প উষ্ণ করে নিয়ে মাথার তালুতে মাসাজ করুন সপ্তাহে অন্তত একবার। তার পর একবার গরম জলে চুবিয়ে নিংড়ে নেওয়া তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে রাখুন খানিকক্ষণ। তাতে তেলের পুষ্টিগুণ চুলের গভীরে পৌঁছে যাবে। পরদিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন। তেল আপনার স্ক্যাল্পের রুক্ষতা দূর করবে, মালিশ বাড়াবে রক্ত চলাচলের পরিমাণ। স্ক্যাল্প সুস্থ থাকলে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের আশঙ্কাও কমবে।
চুল ধোওয়ার জন্য অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করুন: শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নেওয়ার পর অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের মিশ্রণ দিয়ে ফাইনাল ওয়াশ করুন। সমান পরিমাণ জল আর ভিনিগার মিশিয়ে নিলেই আপনার হেয়ার ওয়াশ তৈরি হয়ে যাবে। তবে যাঁদের চুল রুক্ষ, তাঁদের চুল অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহারের ফলে রুক্ষতর হতে পারে, তা ঠেকাতে চাইলে আগে অবশ্যই তেল মাখবেন।
নিয়মিত শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার রাখুন: নিয়মিত শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার করলে তার স্বাস্থ্য খারাপ হয় না, বরং ভালোই থাকে। যেটা দরকার, তা হচ্ছে আপনার চুলের প্রকৃতি অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু বাছাই। তবে শ্যাম্পু করার পর প্রচুর জল দিয়ে চুল ধুতে হবে, স্ক্যাল্পে যেন শ্যাম্পুর ফেনা বা কন্ডিশনারের অবশিষ্টাংশ লেগে না থাকে, তা দেখবেন। খুব ঘন ঘন শ্যাম্পু দেওয়ার দরকার নেই, চুলের গোড়ায় ময়লা জমলে তবেই লাগান।
খুব বেশি প্রডাক্ট বা হিট স্টাইলিং ব্যবহার করবেন না: খুব বেশি জেল, হেয়ার স্প্রে বা হিট স্টাইলিং করলেও কিন্তু খুশকির আশঙ্কা বাড়ে। স্টাইলিং প্রডাক্ট থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন, চুল এমনি হাওয়ায় শুকিয়ে নিলেই তার স্বাস্থ্য বেশিদিন ভালো থাকে। পেশার কারণে যাঁদের বার বার হিট স্টাইলিং করতে হয়, তাঁরা অবশ্যই হিট প্রোটেকশন সিরাম ব্যবহার করবেন।
অ্যালো ভেরা ও দইয়ের প্যাক: দই আর অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিয়ে সপ্তাহে একদিন চুলে ব্যবহার করুন। চুল থাকবে মসৃণ ও মোলায়েম খুশকিও হবে না।