সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেই সঙ্গে ঘরে বসে সব দিক সামাল দেওয়াও আর সম্ভব হচ্ছে না। অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গেলে আপনাকে সমস্ত সাবধানতা নিয়ে বাইরে বেরোতেই হবে – অনেকে জরুরি ব্যক্তিগত কাজেও ভ্রমণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কেউ কেউ কাছে-পিঠে ছোটোখাটো ট্যুরও সেরে আসছেন সপরিবারে।
ভ্রমণের বিধিনিষেধ
কিন্তু খুব সাবধান – এখনও অতিমারি পরিস্থিতি শুধরোয়নি বিশেষ, তাই খুব সতর্ক হয়েই ভ্রমণ করতে হবে। উপরের ছবিটি চিত্রতারকা পাওলি দামের ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া। কাজের প্রয়োজনে জয়পুর গিয়েছিলেন পাওলি — দেখলেই বুঝবেন তিনি কী সাবধান হয়ে বেরিয়েছেন!
নিজেকে ঢাকুন সুরক্ষার মোড়কে
খুঁটিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে দুটো মাস্ক পরেছেন তিনি, হাতে আছে গ্লাভস, চোখ ঢাকা চশমায়, পায়ে ঢাকা জুতো। পুরোহাতা জামা আর জিন্স পরাই সবচেয়ে নিরাপদ বলে আপাতভাবে মনে হচ্ছে। আর এই ড্রেস কোড নারী-পুরুষ সবারই মেনে চলা উচিত। সেই সঙ্গে চুল বেঁধে রাখুন, টুপিও পরা যায়।
লাগেজের নিরাপত্তা
লাগেজের নিরাপত্তা নিয়েও কিছু ভাবনাচিন্তা করা দরকার। আপনার যা যা প্রয়োজন, সব হাতব্যাগে নিন। কোনও অবস্থাতেই বড়ো ব্যাগ বার বার খোলা-বন্ধ করবেন না। লাগেজ ঢেকে রাখার জন্য আলাদা ব্যাগ পাওয়া যায়। তেমন কিছু থাকলে খুব ভালো। এই মোড়কটা ধুয়ে নিলেই হবে।
যে সব নিয়ম মেনে চলা উচিত
পথে জমিয়ে খাওয়া-দাওয়াও আপাতত ভুলে যান। বাড়ি থেকে পেট ভরে খেয়ে বেরোন, রাস্তায় ছোটো চকোলেট দিয়েই কাজ চালাতে হবে। হাতের কাছে ডিসপোজেবল জলের বোতল রাখবেন। স্টেশন বা এয়ারপোর্টে পৌঁছে যান সময়ের আগেই।
স্বল্প দূরত্বের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মানা উচিত
মেট্রো চালু হয়েছে সম্প্রতি, কিছুদিনের মধ্যে হয়তো ট্রেনও চলবে। তখনও এই নিয়মগুলি মেনে চলা উচিত। তাতে ভাইরাসের ছোঁয়াচ বাঁচাতে পারবেন। সেই সঙ্গে মেনে চলুন সমস্ত গাইডলাইন, তাতে ভ্রমণ অনেক সহজ হবে।
গন্তব্যে পৌঁছনোর পর কী করবেন
ব্যাগ আর জুতো ভালোভাবে স্যানিটাইজ করুন বাইরে থেকে ঘরে ঢুকেই। ডিসপোজেবল মাস্ক ব্যবহার করলে নিয়মমাফিক বাতিল করুন। না হলে গরম জলে সাবান দিয়ে জামাকাপড়, মাস্ক সব কেচে ফেলুন ভালো করে। হোটেলে থাকবেন? লন্ড্রি সার্ভিস নিরাপদ মনে হলে তাদেরও সাহায্য নিতে পারেন। সেই সঙ্গে খুব ভালো করে স্নান মাস্ট।
বাইরে কোথাও খেতে হলে গরম খাবার খান
প্যাকেটবন্দি খাবারের উপর ভরসা না করে অর্ডার দিন তাজা রান্না করা খাবার। তবে খাবার থেকে করোনা ছড়ানোর প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
শরীর খারাপ থাকলে বেরোবেন না
আমরা সবাই আগে নিজের কথা ভাবি, তাতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু এখন এমনই এক সময় এসেছে যে অন্যের কথাও ভাবতে হবে। তাই শরীর সামান্য খারাপ থাকলেও বাড়ি থেকে বেরোবেন না।
ফোটো সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম