প্রাণায়াম হচ্ছে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের বিদ্যা, প্রাচীন ভারতের অন্যতম সেরা ঐশ্বর্য। আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে প্রাণায়াম। তা নিয়মিত অভ্যেস করলে অনিদ্রা কেটে যায়, স্ট্রেস কমে, মনঃসংযোগ বাড়ে। তবে মেডিটেশন বা নানা আসন করার সময়েও প্রাণায়াম অভ্যেস করা হয়।
ফুসফুস পরিষ্কার হয় ও তার কার্যক্ষমতা বাড়ে
প্রাণায়াম অভ্যেসের সময় যখন আপনি প্রশ্বাস ছাড়ছেন, তখন ফুসফুসের একেবারে তলদেশ পর্যন্ত খালি হয়ে যায়। আমাদের শ্বাসবায়ুর সঙ্গে অনেক অপরিশোধিত কণাও ঢুকে পড়ে ফুসফুসে। মাধ্যাকর্ষণের টানে তা জমা হয় এই অঙ্গের একেবারে নিম্নতম প্রান্তে। দীর্ঘকাল তা সেখানেই আটকে থাকলে ফুসফুসের কার্যকারিতা ব্যাহত হবে। কিন্তু প্রাণায়াম এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের একেবারে গভীরতম কোণ থেকে শেষতম কণাটিকেও বের করে আনতে পারে, ফলে ফুসফুস হয়ে ওঠে শক্তিশালী।
প্রাণায়াম স্ট্রেস কমাতে কার্যকর
আপনার স্ট্রেস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে শারীরিক অসুখ-বিসুখ ও ব্যথাবোধ। প্রাণায়াম আপনাকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। তাতে যে কেবল মন ভালো হয় তা নয় কিন্তু, ধীরে ধীরে আপনার নার্ভাস সিস্টেমের স্বাস্থ্যও ভালো হতে আরম্ভ করে। ফলে অনেক শারীরিক অসুবিধে থেকেও মুক্তি পাবেন।
হজমশক্তিতে প্রভাব ফেলে
আমাদের শ্বাস নেওয়ার তালে তালে ওঠা-পড়া করে আমাদের ডায়াফ্রাম। সেই সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উত্থান-পতন হয়। পাকস্থলীর খাবার বা পানীয়ও শ্বাসের তালে তালে ওঠে-পড়ে। প্রাণায়াম করার সময় আপনি যেভাবে বসেন, তাতে খাদ্য ও পানীয়ের গতিপথে কোনও বাধা সৃষ্টি হয় না। ডায়াফ্রামও পুরোপুরি কাজ করে। সঠিকভাবে প্রাণায়াম অভ্যেস করলে ক্রমশ আপনার ওজন কমতে আরম্ভ করবে।
মনের জোর বাড়ায়
প্রাণায়ামের সুবিধে হচ্ছে, তা বাচ্চা-বুড়ো সকলেই অভ্যেস করতে পারে এবং তা মনের জোর বাড়াতে দারুণ কার্যকর। এর নিয়মিত অভ্যেস বাড়ায় মনঃসংযোগ। যাঁরা ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তাঁরা প্রাণায়াম অভ্যেস করলে নিশ্চিতভাবেই উপকার পাবেন।
উজ্জ্বল নিদাগ ত্বক পেতে সাহায্য করে প্রাণায়াম
আপনি কখনও পার্লার বা স্পায়ে গিয়ে অক্সিজেন ফেসিয়াল করিয়েছেন? তা হলে নিশ্চয়ই জানেন যে অক্সিজেন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতার অন্যতম প্রধান কারণ? প্রাণায়ামের দরুণ বাড়তি অক্সিজেন পাবে আপনার ত্বক, ফলে তার সুস্থ ও সুন্দর হয়ে ওঠাটা কেবল সময়ের অপেক্ষা!