প্রথমেই যেটা বলতে চাই, তা হল – ইংরেজিতে ফটফট কথা বলতে পারেন না বলে মন খারাপ করবেন না, নিজেকে ছোটো ভাবার তো কোনও কারণই নেই! যদি একটু চেষ্টা করেন আর লেগে থাকেন, তা হলে আপনিও কিছুদিনের মধ্যেই এ বিদ্যে আয়ত্ব করে ফেলবেন।
বিশ্বাস হচ্ছে না? আপনি ছোটো শহর থেকে উঠে আসা যে কোনও খেলোয়াড় বা চিত্রতারকার পুরোনো ইন্টারভিউ আর হালের কথাবার্তা শুনে দেখুন – ফারাকটা স্পষ্ট বুঝতে পারবেন। যেহেতু ভারতবর্ষে বহু আঞ্চলিক ভাষা আছে, তাই ইংরেজির গুরুত্ব বেশি। গোটা দেশের যে কোনও প্রান্তে তা চলে। তাই সময় থাকতে শিখে নেওয়াই ভালো।
১. যে কোনও ভাষা শেখার জন্য তা শুনতে হবে
এটা একেবারে প্রাথমিক শর্ত – ইংরেজি মিডিয়ামে যারা পড়াশোনা করে, তারা এই কারণেই ইংরেজি শেখে চটপট। ভাষাটা তাদের কানে সারাক্ষণ ঢুকতে থাকে। রোজ টিভিতে বা ফোনে খানিকক্ষণ ইংরেজি অনুষ্ঠান দেখুন। সিনেমা বা সিরিজ হলে আপনি অভিব্যক্তি দেখেই সংলাপ আঁচ করতে পারবেন, সাব টাইটেল পড়তে পারেন। সেই সঙ্গে লাগাতার দেখতে থাকলে শব্দ মনের মধ্যে গেঁথে যাবে।
২. ইংরেজি বই, খবরের কাগজ পড়ুন জোরে জোরে
রিডিং পড়তে হবে। এমনভাবে পড়তে হবে যাতে শব্দ নিজের কানে ঢোকে। যেখানে যেখানে মানে বুঝতে পারবেন না, সেখানে ডিকশনারি দেখুন। আজকাল ফোনেই ডিকশনারি থাকে, তাই খুব জটিল হবে না ব্যাপারটা। যে শব্দ, বা শব্দবন্ধটা নতুন শিখলেন, সেটা একটা নোট খাতায় লিখে রাখুন। সেটা কীভাবে ব্যবহার হয়েছে মনে রাখুন।
৩. একটা সময়ের পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সঙ্গে কথা বলুন
মাস দুই-তিন যদি আপনি রোজ ভাষার সঙ্গে খানিক সময় কাটান, তা হলে দেখবেন ধীরে ধীরে ইংরেজিতে ভাবতে বা ছোটো ছোটো বাক্য তৈরি করতে অসুবিধে হচ্ছে না। এই অবস্থায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সঙ্গে কথা বলা অভ্যেস করুন। যেটা ভাবছেন, বা মাথায় যে চিন্তাটা ঘুরছে, সেটাই ইংরেজিতে বলুন। যদি কোনও বন্ধুর সঙ্গে একসঙ্গে অভ্যেস করেন, তা হলে আরও দ্রুত পরিবর্তনটা বুঝতে পারবেন। ইন্টারনেটেও কথা বলার সঙ্গী খুঁজে পাওয়া যায়।
৪. আপনার ইংরেজি কতটা পারফেক্ট হচ্ছে সে চিন্তা করবেন না
যাঁরা তরতরিয়ে ইংরেজি বলেন তাঁরা সবাই যে খুব ব্যাকরণগতভাবে নির্ভুল ইংরেজি বলেন, তা কিন্তু নয়। প্রথমদিকে কী কী ভুল হল, তা নিয়ে ভাবতে বসবেন না। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলার উপর জোর দিন। শব্দগুলো যেন স্বাভাবিকভাবে মাথায় আসে, সেটা জরুরি। যতদিন না আপনি প্রচুর প্রচুর ইংরেজি বই পড়ার অভ্যেস তৈরি করছেন, ততদিন ভাষার সঠিক ব্যবহার শিখতে পারবেন না। তাতে সময়ও লাগবে।
৫. ইংরেজি বই পড়ার অভ্যেস কীভাবে তৈরি করা যায়?
এ কথা ঠিক যে সবার বই পড়তে ভালো লাগে না। ভাষায় দখল না থাকলে বই পড়তে অসুবিধে হয়, এগোতেও ইচ্ছে করে না। কিন্তু আপনি যদি চমৎকার ইংরেজি বলতে চান, তা হলে বই পড়া ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই। ইংরেজি সিনেমা দেখলে খানিকটা হয়। তবে সাহিত্যের ভাষার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। কোনও ভাষা করায়ত্ত করার জন্য লেখা, পড়া, বলা, ব্যাকরণ ও নতুন শব্দ শেখা – সব কিছুকেই গুরুত্ব দিতে হবে – এটা কিন্তু রাতারাতি হওয়া সম্ভব না। মন খারাপ না করে লেগে থাকতে হবে।