মাস্ক পরলে ত্বকে সমস্যা হয় কেন?
ঠিকভাবে মাস্ক পরলে তা নাক আর মুখের উপর চেপে বসে, ফলে বাতাস ঠিকমতো খেলে না। কাজেই ওই অংশের তাপমাত্রা আর আর্দ্রতা খুব বেড়ে যায়। গরম আর ঘাম একসঙ্গে ত্বকে বিক্রিয়া করে, যার ফলে ব্রণ, ত্বকের রঙে তফাত, ট্রমা লাইনের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
ব্রণর উৎপাত
যাঁদের এমনিতেই ব্রণর ধাত, মাস্ক পরলে তাঁদের সমস্যা বেশি হয়। ব্রণ নিরাময়ের যে সব ক্রিম ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়, তা ব্যবহার করে দেখুন। চন্দন বেটে ব্রণর উপরে লাগালে আরাম পাবেন। বাইরে থেকে ফিরে মুখ অয়েল-ফ্রি ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে হালকা ময়শ্চরাইজার লাগান। মেকআপ না করলেই ভালো হয়।
ঘামের সমস্যা
একে প্রচণ্ড গরম, তার উপর মাস্কে নাকমুখ ঢাকা, এ অবস্থায় ঘাম তো হবেই! আপনার বা বাড়ির কারও সর্দিকাশির মতো কোনও উপসর্গ না থাকলে বাড়ির ভিতরে মাস্ক পরে থাকার দরকার নেই। বাইরে যাওয়ার সময় ব্যাগে ওয়েট টিস্যু রাখুন। মুখ ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে নিন। সুতির কাপড়ের তৈরি মাস্ক পরতে পারেন, গরম একটু কম লাগবে। হালকা কোনও ফেস মিস্ট ব্যবহার করে সেটা শুকোতে দিন, তার পর মাস্ক পরুন। ত্বক ঝরঝরে থাকবে।
লালচেভাব
যাঁদের ত্বক সেনসিটিভ, মাস্ক পরলে তাঁদের ত্বক লাল হয়ে যাওয়ার বা র্যাশ বেরোনোর আশঙ্কা থেকেই যায়। অনেক সময় জায়গাটা চুলকোয়, আঁশের মতো চামড়া উঠতে থাকে। মাস্কের মেটেরিয়ালের সঙ্গে ত্বকের বিক্রিয়ায় এমন হয়ে থাকে। বাড়ি ফিরেই মাস্ক খুলে ফেলুন। ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন জায়গাটা। তারপর অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে নিলে ধীরে ধীরে লালচেভাব কেটে যাবে। সেইসঙ্গে চেষ্টা করুন সুতির মাস্ক পরতে।
অ্যালার্জি
মুখে মাস্ক পরলেই জ্বালা করছে, চুলকোচ্ছে, দানা দানা বেরোচ্ছে? সম্ভবত মাস্কের উপাদানটি আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই নয়। মাস্কের ধরন বদলে দেখুন। গেঞ্জি কাপড়ের বদলে সুতির মাস্ক পরুন। অ্যালার্জির কারণে সমস্যা হলে কমে যাওয়ার কথা।
কী করবেন
ভরসা থাক বরফে: ত্বক খুব জ্বালা করলে বা লাল হয়ে গেলে বরফের কমপ্রেস নিতে পারেন। পাতলা কাপড়ে বরফ মুড়ে লাল হয়ে যাওয়া অংশে ধীরে ধীরে লাগালে আরাম পাবেন।
পরিষ্কার শুকনো মাস্ক পরুন: ভেজা মাস্ক থেকে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে, প্রদাহ তৈরি হতে পারে। বাইরে বেরোলে সঙ্গে দু’ তিনটি বাড়তি মাস্ক রাখুন। ভিজে গেলেই বদলে নিন।
মাস্ক পরার আগে মুখে হালকা ময়শ্চরাইজার মেখে নিন: ত্বকের সুরক্ষার সঙ্গে আপোস করবেন না। আগে মুখে ভালো করে ময়শ্চারাইজার মেখে তবেই মাস্ক পরবেন।
ত্বকের নিয়মিত যত্ন নিন: মুখ নিয়মিত পরিষ্কার করে টোনার আর ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে রাখুন। ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী ময়েশ্চরাইজার মাখলে খুব ভালো হয়।